৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’
Published: 20th, April 2025 GMT
ছয় দফ দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে মহাসমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের তরফ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ঘোষণা না আসলে সারা দেশে সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করবেন।”
এ সময় কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা সব ধরনের এসি রুমের আলোচনা বয়কট করলাম। দাবি না মানলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিব।”
তিনি আরো বলেন, “কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূর হলেই আমারা এসব ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাব। আমারা আর মৌখিক আশ্বাসে বিশ্বাস করছি না।”
এর আগে সকাল থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার পর থেকে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
এ সময় ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ/ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার/ গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এসি রুমের বৈঠক/ আর নয় আর নয়’, ‘পলিটেকনিক এক হও/ এক হও এক হও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
গত কয়েকদিন থেকে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ব্যনারে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সেগুলো হলো, জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’
ছয় দফ দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে মহাসমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের তরফ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার কোনো ঘোষণা না আসলে সারা দেশে সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করবেন।”
এ সময় কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা সব ধরনের এসি রুমের আলোচনা বয়কট করলাম। দাবি না মানলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিব।”
তিনি আরো বলেন, “কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূর হলেই আমারা এসব ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাব। আমারা আর মৌখিক আশ্বাসে বিশ্বাস করছি না।”
এর আগে সকাল থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টার পর থেকে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
এ সময় ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ/ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার/ গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এসি রুমের বৈঠক/ আর নয় আর নয়’, ‘পলিটেকনিক এক হও/ এক হও এক হও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
গত কয়েকদিন থেকে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ব্যনারে শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সেগুলো হলো, জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা