নাটোরের শিশুর লাশ উদ্ধারের মামলায় পাঁচ কিশোর আটক
Published: 20th, April 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামের নিখোঁজ হওয়া শিশু হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সবাই বয়সে কিশোর। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। পুলিশের কাছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে নাটোরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ।
আরও পড়ুননিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার১৫ এপ্রিল ২০২৫আটক শিশুদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয় এবং ব্যাটারিতে ব্যবহৃত অ্যাসিড দিয়ে শিশুটির মুখ ঝলসে দেওয়া হয়। জড়িতরা সবাই এলাকার বখাটে বা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ পরের দিন বাড়ির পাশ লাগোয়া পাবনার চাটমোহর উপজেলায় একটি ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনার পর থেকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্তে মাঠে নামে। এরই অংশ হিসেবে তারা বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ কিশোরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। মামলাটি চাটমোহর থানায় হওয়ায় তাদের সেখানে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, আটক পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে তারা শিশুটিকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের মধ্যে একজন মাদ্রাসাছাত্র ও একজন কলের লাঙলের চালক। আগে থেকেই তারা শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা অন্য এক শিশুও ঘটনাটি দেখেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আইন অনুসারে আটক শিশুদের চাটমোহর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখানকার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধি অনুসারে তাদের আদালতে সোপর্দ করবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্রের মহড়া, কালোতালিকা, কাদা-ছোড়াছুড়ি, জনসংযোগের নামে বলিউডে যা হয়
প্রচার-প্রচারণার কাজে তারকারা কোথাও গেলে সেখানে ফটোগ্রাফার পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয় বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কাছে। এসব বার্তা পাঠানো হয় ‘এ’ গ্রেডের তারকা থেকে শুরু করে উঠতি ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য। খুদে বার্তায় সময়ও উল্লেখ থাকে। শুধু তা-ই নয়, কোনো অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাতা যখন বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তাঁদের সেই বিষয়গুলো সামনে না আনার জন্যও বার্তা পাঠানো হয়।
কারা এসব কাজ করেন? একজন নিয়োগ পাওয়া পাবলিক রিলেশন অফিসার বা জনসংযোগ কর্মকর্তা। তারকাদের ফুটফরমাশের দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাঁদের মতিগতি বুঝে বিভিন্ন ইচ্ছা পূরণ করে চলাই জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যেসব সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছে, তাঁদের সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে বলিউডে জনসংযোগের বিষয়টি গুটিকয় ব্যক্তির হাতে আবদ্ধ। তাঁরা তারকাদের নেতিবাচক দিকগুলোর পরিবর্তে ইতিবাচক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার জন্য চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। আবার কোনো তারকার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কেউ যেন বিতর্ক উসকে দেওয়ার মতো কোনো প্রশ্ন না করেন, সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। যদি কোনো সাংবাদিক এমনটা করে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য বিপজ্জনক সব পরিস্থিতি অপেক্ষা করে।
একজন চলচ্চিত্র সমালোচক জানান, ভারতের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর একটিতে প্রচারিত একটি সিরিজের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। সমালোচনার শেষের কয়েকটি লাইন প্ল্যাটফর্মটির পছন্দ হয়নি। তাই তা পরিবর্তন করতে বলা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। কিন্তু তিনি তা করেননি। পরিণতি হিসেবে জনসংযোগের কুৎসিত চেহারার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
‘জুয়েল থিফ’ সিনেমার প্রচারে তারকারা। এএফপি