দর্শকের ভালোবাসা পেলে কষ্ট কিছুটা হালকা হয়: সজল
Published: 20th, April 2025 GMT
আবদুন নুর সজল। অভিনেতা। ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ‘জ্বিন থ্রি’। ঈদে অনেক সিনেমার ভিড়ে এ সিনেমাটি নিয়েও আগ্রহ ছিল। পরে অবশ্য বিপরীত চিত্র দেখা যায়। সিনেমাটির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় সজলের সঙ্গে।
‘জ্বিন থ্রি’ মুক্তি পেল ঈদে। কেমন সাড়া পেয়েছেন?
সাড়া আসলে মিশ্র। যারা দেখেছেন, তারা বেশ প্রশংসা করেছেন, বিশেষ করে ‘কন্যা’ গানটি নিয়ে অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি। এটি অনেক বড় প্রাপ্তি।
‘কন্যা’ গানটি নিয়ে তো বেশ আলোচনা, শোনা যায় জ্বর নিয়েও শুটিং করেছেন?
হ্যাঁ। সত্যি কথা বলতে তখন প্রায় ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল আমার। শিডিউল, ইউনিটের প্রস্তুতি–সব মিলিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আমি চেয়েছিলাম গানটি যেন ঠিকঠাকভাবে হয়। কারণ, গানটি গল্পের আবেগী মুহূর্তের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিলে যায়। সেই কষ্টটা কাজ করেছে বলে মনে করি। দর্শক গানটা খুব পছন্দ করেছে।
তাহলে এত পরিশ্রমের পর সিনেমাটি এত দ্রুত হল থেকে নামানো কষ্ট দেয়নি?
অবশ্যই দিয়েছে। একজন শিল্পী হিসেবে আপনি চান, আপনার কাজটা মানুষ দেখুক। আমরা সবাই খুব কষ্ট করেছি এই সিনেমার জন্য। আমাদের দেশের হলসংখ্যা কম। পাশাপাশি অনেক সিনেমা একসঙ্গে মুক্তি পেলে এমনটা হয়ে যায়। তবুও দর্শকের ভালোবাসা পেলে কষ্টের কিছুটা ভার হালকা হয়।
‘জ্বিন’ সিরিজে প্রথম আপনাকে দেখা গেছে। ধারাবাহিকভাবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
এটি একটি ইউনিক অভিজ্ঞতা। প্রথম ‘জ্বিন’ করি। পরের পার্টে আমি ছিলাম না। সিনেমাটির আগের দুই কিস্তি দর্শকের কাছ থেকে অভাবনীয় ভালোবাসা পেয়েছে, যে কারণে ‘জ্বিন থ্রি’ নিয়ে আসা। প্রাপ্তি আসলে অনেক কিছু। সবাই চায়, একটি সুন্দর গল্পে কাজ করা। চমৎকার একটি গল্প পেয়েছি। মূলত গল্পের কারণে দ্বিতীয় কিস্তিতে আমি ছিলাম না। পরেরটায় আবার গল্পের প্রয়োজনে আসা। এবার ‘জ্বিন থ্রি’–প্রতিটি কিস্তিতেই গল্পের বাঁক বদলেছে, চরিত্রগুলো আরও গভীর হয়েছে। একই সিরিজে থেকেও প্রতিবার ভিন্নভাবে নিজেকে তুলে ধরতে হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি চরিত্রের ভেতরে আরও ডুবে যেতে। আমার কাছে পরীক্ষামূলক কাজ বেশি পছন্দ। জ্বিনের চরিত্রটি তেমনই একটি চরিত্র।
আগের কিস্তিগুলোর তুলনায় এবার ‘জ্বিন থ্রি’তে আপনার চরিত্রে কী ভিন্নতা ছিল?
এই কিস্তিতে আমার চরিত্রটা ছিল আরও রহস্যময়, আবেগপ্রবণ এবং ঘটনাপ্রবাহের মূল চালিকাশক্তি বলা যায়। আগেরগুলোতে যেভাবে দর্শক আমাকে দেখেছেন, এবার হয়তো আরও এক ধাপ সিরিয়াস এবং ইনটেন্স এক্সপ্রেশন তারা পেয়েছেন। পরিচালকও চেয়েছিলেন একটু ডার্ক টোনে যাওয়া, যেটি আমার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জিং এবং উপভোগ্য।
সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
দর্শকদের বলব– বাংলাদেশি সিনেমা দেখুন, হলে গিয়ে দেখুন। আমাদের উৎসাহটা আপনাদের হাতেই। ‘জ্বিন থ্রি’ যারা মিস করেছেন, তাদের বলব এখনও হলে সিনেমাটি চলছে। দেখে আসতে পারেন।
আপনি নাকি নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচার হওয়া বিদেশি সিরিজ ‘ম্যাকগাইভার’ হয়ে উঠছেন?
বিষয়টি তেমন না। ‘ম্যাকগাইভার’ আমারও দারুণ প্রিয় সিরিজ। বিটিভিতে প্রচারের পর ম্যাকগাইভার চরিত্রের ভক্ত হয়ে উঠেছিল অনেকে। চরিত্রটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে ম্যাকগাইভারের ভিউকার্ড, স্টিকার ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। বিক্রিও হতো দেদার। এই ম্যাকগাইভারের বাংলা ডাবিং নিয়ে এসেছে এসআরকে স্টুডিও। এবার নতুনভাবে সাজানো হয়েছে বাংলা ডাবিং। এতে ম্যাকগাইভার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছি আমি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সজল
এছাড়াও পড়ুন:
সাধারণ জ্ঞান–৫: মার্চ–২০২৫। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী সারা বছর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। তাদের সহায়তার জন্য নিয়মিত এ আয়োজন।
১. বিশ্বের দীর্ঘতম বায়ুচালিত পণ্যবাহী জাহাজ—লিওলাইনার অরিজিন। দৈর্ঘ্য ৪৫০ ফুট, ১৩৬ মিটার। দীর্ঘ দূরত্বে ৫ হাজার ৩০০ টন পণ্য বহন করে থাকে।
২. আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাকশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়—ফ্রান্সের প্যারিসে। সদস্যসংখ্যা ৬৪।
৩. বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পর্বতকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশ—নিউজিল্যান্ড।
৪. বিশ্বের দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটারের নাম—এল কাপিতাল। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৫. ‘ডিপসিক’ হলো—একটা চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি।
৬. ‘ডিপসিক’–এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন—লিয়াং ওয়েন ফেং।
৭. USAID–এর পূর্ণনাম—United States Agency For International Development
৮. USAID–এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।
৯. USAID প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাসের মাধ্যমে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে—১৯৬১ সালে।
১০. USAID প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বিশ্বে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়—৪০ শতাংশ।
১১. জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নারীশিক্ষার্থী আন্দোলনকারীরা অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার—মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড।
১২. তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে গ্রেপ্তার করা মেয়রের নাম—একরেম ইমামোগলু।
আরও পড়ুনসাধারণ জ্ঞান-৪: মার্চ-২০২৫। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব০৬ এপ্রিল ২০২৫১৩. ২০০৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন—ওরহান পামুক।
১৪. মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জেস গ্রিনিক্স জানান, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে (৭ দশমিক ৭ মাত্রা)—৩৩৪টি পারমাণবিক বোমার শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল।
১৫. বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ২০২৪ সালে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান—১১৩তম।
১৬. বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ২০২৪ সালে ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল—১০৬তম।
১৭. বাংলাদেশের তরুণ শ্রমশক্তির পরিমাণ হচ্ছে—২ কোটি ৭০ লাখ, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশ।
১৮. জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের প্রতিবেদনের নাম—‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’। প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা ছিল ১১৪টি।
ছবি: ডিপসিক //লোকেশন: Porasona-1 (16_04_2025) pa-04
আরও পড়ুনএসএসসি পরামর্শ ২০২৫: গণিতে ভালো নম্বর পাওয়ার সহজ উপায়১৮ এপ্রিল ২০২৫