নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বিআইসিএম’র সেমিনার
Published: 20th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর উদ্যোগে নারী বিনিয়োগকারীদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইনস্টিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫’ উপলক্ষ্যে পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘Accelerating Women’s Financial Independence: Investing in the Capital Market’ শীর্ষক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা ক্রমবিকাশ কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন।
বিআইসিএম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিশেষ অতিথি ও প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য ফাইমা আক্তার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারজানা লালারুখ বলেন, “পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জায়গা। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনারেদকে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে যে এটি একদিনের বিনিয়োগ ক্ষেত্র নয়। আপনাকে প্রথমেই মনে রাখতে হবে যে আপনি যাকে পুঁজি দিয়েছেন উনি দীর্ঘমেয়াদের জন্য পুঁজি নিয়েছেন। তাকেও মুনাফা করতে সময় দিতে হবে, আপনারও মুনাফা গ্রহণের সময় আসতে হবে। তাহলেই আপনি লাভবান হবেন।”
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, “এই আজকে ক্ষতি হলো, আমার অবস্থা খারাপ, তাই আমি মার্কেট থেকে চলে যাই। এই ধরনের সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া যাবে না, তেমনি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হয়ে যাব সেটাও কিন্তু চিন্তা করা যাবে না।”
তিনি বলেন, “পুঁজিবাজার বড়লোক হওয়ার যায়গা না। একটি শেয়ার কিনে মূলত আপনি একটি কোম্পানির মালিক। সুতরাং আপনাকে ওই কোম্পানিকে ধারণ করতে হবে। লাভ-লোকসান দুটোই মেনে নিতে হবে।”
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুজবে কান না দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুছ সালেহীন বলেন, “বিআইসিএম নারী বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করতে এবং পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে অব্যাহতভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। উক্ত প্রশিক্ষণ থেকে জ্ঞান আহরণ করে নারী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজেরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হবেন।”
তিনি বলেন, “নারীদের এধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্যানেল আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্ত ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য এস.
অতিথিগণ সেমিনারে অংশগ্রহণকারী নারী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন। এ সময় মাজেদা খাতুন বলেন, “পুঁজিবাজরে বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্যের বৈচিত্রতা আনতে হবে। এতে নারী বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হবেন। ফলে সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারের নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে।”
সেমিনারে নারী বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিআইসিএম’র সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত ছ ল ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনহীন চিঠি পাঠানোর পর আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
ট্রাম্প প্রশাসন সুদূরপ্রসারী কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে বলে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে।
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, এসব দাবিসংবলিত একটি চিঠি সরকারি কর্মকর্তারা অনুমোদন ছাড়াই তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।
গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্ভার্ড ১১ এপ্রিল এ চিঠি পেয়েছে। কিন্তু সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন—এমন কিছু সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে সূত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুনশিক্ষা দপ্তরকে কী লিখেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, যাতে খেপেছেন ট্রাম্প১৫ এপ্রিল ২০২৫চিঠি পাওয়ার তিন দিন পর হার্ভার্ড দাবিগুলো নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এসব দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, নিয়োগ ও শিক্ষাদানবিষয়ক নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া।
হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন (২৩০ কোটি) ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর-অব্যাহতির মর্যাদা ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সক্ষমতা বাতিল করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির বৈদেশিক যোগাযোগ, শিক্ষার্থী ও অনুষদগুলোর বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প