নাজমুল হোসেন শান্তর বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হলো জিম্বাবুয়ে। রিচার্ড এনগারাভার ডেলিভারি নাজমুল হোসেন শান্তর প্যাডে লাগে। জোরাল আবেদন করেন জিম্বাবুয়ে ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় রিভিউ নেন ক্রেইগ আরভিন। দেখা যায় স্টাম্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে বল। রিভিউ নষ্ট হয় রোডেশিয়ানদের। ২০ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৬৬। ২৭ বলে তিন চারে ১৯ রানে খেলছেন শান্ত। ৩৭ বলে এক চারে মুমিনুল হকের রান ১৫।
৩২ রানেই দুই ওপেনারকে হারাল বাংলাদেশ
শুরুতে সাবধানী খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি বাংলাদেশে দুই ওপেনার। দলকে চাপে রেখে মাত্র ৩২ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে সাদমান ও জয়কে। দুজনেই শিকার হয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর এনাউচির বলে। ২৩ বলে ১২ রান করেন সাদমান। জয় করেন ৩৫ বলে ১৪ রান। জিম্বাবুয়ের কিপার সহজ ক্যাচ না ফেললে বিদায় নিতে পারতেন মুমিনুল হকও।
চার নম্বরে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ও শান্ত এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
সাবধানী শুরুর পর সাজঘরে সাদমান
দিনের শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। জয়-সাদমান মিলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকে। কিন্তু নবম ওভারে ভিক্টর এনাউচির বলে খোঁচা মেরে বিদায় নিয়েছেন সাদমান ইসলাম। এ দিন ২৩ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাটে। ওপেনিং জুটিতে ৮.
বাংলাদেশের একাদশে তিন পেসারের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজসহ আছেন দুই স্পিনার। পেস বিভাগে নাহিদ রানার সঙ্গে আছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। স্পিনে মিরাজের সঙ্গে বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম। কিপিং গ্লাভস থাকছে জাকের আলির হাতে। ওপেনিংয়ে জাকির হাসানকে টপকে সুযোগ পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর এনাউচি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুজনে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি, পথে ভিমরুলের কামড়ে সমবায়কর্মীর মৃত্যু, স্ত্রী আইসিইউতে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ভিমরুলের কামড়ে মো. সালামত মিয়াজী (৫৫) নামের এক সমবায়কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। একই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
মো. সালামত মিয়াজীর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বড় দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে। সালামত মিয়াজী ‘আলোর সন্ধানে বহুমুখী সমবায় সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সালামত মিয়াজী তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে তাঁরা শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ অনেকগুলো ভিমরুল এসে কামড়ায়। এ সময় তাঁরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিমরুলের আক্রমণ থেকে উদ্ধার করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান সালামত মিয়াজী। তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার এখনো আইসিইউতে আছেন। সালামতের মেয়ে শাওনি আক্তার জানান, তাঁর মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মানিক মিয়া বলেন, ‘ভিমরুলের কামড়ে একজন সমবায়কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’