ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন আরো ৫৪ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো অনেকে। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চালানো ইসরায়েলি হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

গাজায় এক মাসে ৪ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল

গণহত্যার প্রতিবাদ করে গাজাবাসীর জন্য রাখাইনদের প্রার্থনা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটি, খান ইউনিস, বেইত লাহিয়া এবং আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবিরসহ বিধ্বস্ত গাজা অঞ্চল জুড়ে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। খান ইউনিসে, বাস্তুচ্যুতদের আবাসস্থলের তিনটি তাঁবুতে হামলায় এগারো জন নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলার পর গাজা উপত্যকায় গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি ছিল তিন পর্বের। প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলের ফের শুরু করা এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া ছয় সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এটি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ অবরোধ আরোপের ঘটনা। জরুরি সেবা সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় ইতিমধ্যেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে হাজির সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খানসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ বিষয়ে শুনানি করবেন আজ।

ট্রাইব্যুনালের বাকি দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ আসামিকে হাজির করার জন্য আজ ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টাসহ ১৯ আসামিকে হাজির করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তারা হলেন- বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চায় হেফাজতে ইসলাম
  • ট্রাইব্যুনালে হাজির সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
  • সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে শহীদ পরিবার বিচার পাবে না, আশঙ্কা জুলাই মঞ্চের
  • ফিলিস্তিনিদের মুক্তির উপায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে বিদায়: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম
  • শহীদি সমাবেশ সফল করতে রাজশাহীতে গণসংযোগ
  • পাকিস্তান ও ভারতকে বাংলাদেশের দুই বার্তা
  • অর্থ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • সম্পদ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা