খুলনায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঝটিকা মিছিল হয়েছে। রোববার সকাল ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই মিছিল হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি পালিত হলো। এরই মধ্যে ঝটিকা মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ৫ এপ্রিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ‘টেলিগ্রামে’ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর নির্দেশনা অনুসারে আজ সকালে জিরো পয়েন্টে মিছিল করেছে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি থেকে দেখা যায়, একদল নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ওই বিক্ষোভ থেকে স্লোগান দেওয়া হয়- ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’। 

জেলা আওয়ামী লীগের কেউ এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিল মিছিলে পরিচিত কোনো মুখ থাকবে না। এ কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অপরিচিত মুখের নেতাকর্মীদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

খাইরুল বাশার বলেন, ‘হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সে সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।’ 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ র ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাড়ি-গাড়ি জব্দের আদেশ 

সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঢাকার একটি ফ্ল্যাট, তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ৭০টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বিচারক। এসব অ্যাকাউন্টে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা রয়েছে।

এ ছাড়া জব্দ করা ফ্ল্যাটটি রাজধানীর পরীবাগের প্রিয় প্রাঙ্গণে, আর অ্যাপার্টমেন্ট তিনটি বনানীর পিপি টাওয়ারে। এসব স্থাপনার দাম ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। এ ছাড়া গাড়ি তিনটির বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করেছে দুদক।

এদিন দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম এসব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি নসরুল হামিদের বিপুর নামে থাকা স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা বেহাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অঅনুসন্ধানের স্বার্থে তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নসরুল হামিদ বিপু এবং তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২০টি একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ