বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নান্নু প্রামানিক নামে এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত নান্নু লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের বক্স প্রামাণিকের ছেলে।

জানা যায়, তিনি মহাস্থান বন্দরে কটকটি ব্যবসা করেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে  নান্নু বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় লাহিড়ীপাড়া বন্দর এলাকায় রাস্তায় ছিনতাইকারীরা নান্নুর গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনি তিনজন ছিনতাইকারীর মধ্যে একজনকে চিনতে পারেন। ছিনতাইকারীকে চিনতে পেরে তাকে নান্নু প্রামাণিক জাপটে ধরার চেষ্টা করেন। ছিনতাইকারীরা তখন তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার করলে এলাকাবাসী উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত নান্নু বলেন, আমি এক ছিনতাইকারীকে চিনে ফেলি। তার নাম ধরে ডাক দিয়ে তাকে জাপটে ধরলে অন্যরা আমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। 

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মইন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই আহত

এছাড়াও পড়ুন:

সৈয়দ সঈদ উদ্দিন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে সংবর্ধনা 

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ভাইস প্রিন্সিপাল মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অন্যতম পরিচালক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান।  

নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল বলেন, বৃহত্তর সিলেটের প্রবেশদ্বার মাধবপুরের সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মাধবপুরবাসীকে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এলাকার শিক্ষার কথা চিন্তা করে এ কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি। বিগত সরকার আমাদের রাজনৈতিকভাবে দূরে রেখেছিল। তবে মাধবপুরবাসী আমাদের তাদের মণিকোঠায় রেখেছে। তাই শত নির্যাতন অত্যাচার সহ্য করে আমরা মানুষের কল্যাণ করছি। যারা আমাদের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করেছে তারা আজ হারিয়ে গেছে। 

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান বলেন, এই কলেজের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের মধ্যে যেন শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে সেজন্য ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ