ঢাকার বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে রাজধানীতে। সেই বৃষ্টিতে সাময়িকভাবে দূষণের পরিমাণ কিছুটা কমলেও তা স্থায়ী হয়নি। আজ রোববার সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে শীর্ষে ঢাকা।

আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৭৬। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। নগরীর তিন স্থানে অবশ্য বায়ুর মান এর চেয়ে অনেক খারাপ।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়িতে আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। আইকিউএয়ারের মানসূচকে সেখানকার গড় বায়ুমান ২৪৬। পর আছে মিরপুর–৬–এর শিয়ালবাড়ি সরকারি অফিসার্স কোয়ার্টার ও সাভারের নবীনগর। সেখানে বায়ুমান যথাক্রমে ২২৩ ও ২০৪।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে নগরবাসীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মার্চ মাসেও দূষণ পরিস্থিতি ছিল মারাত্মক।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ২ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইক উএয় র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাড়ি-গাড়ি জব্দের আদেশ 

সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঢাকার একটি ফ্ল্যাট, তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তার ৭০টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় বিচারক। এসব অ্যাকাউন্টে ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা রয়েছে।

এ ছাড়া জব্দ করা ফ্ল্যাটটি রাজধানীর পরীবাগের প্রিয় প্রাঙ্গণে, আর অ্যাপার্টমেন্ট তিনটি বনানীর পিপি টাওয়ারে। এসব স্থাপনার দাম ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৯৪৭ টাকা। এ ছাড়া গাড়ি তিনটির বাজার মূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করেছে দুদক।

এদিন দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম এসব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি নসরুল হামিদের বিপুর নামে থাকা স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা বেহাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু অঅনুসন্ধানের স্বার্থে তার নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নসরুল হামিদ বিপু এবং তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২০টি একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ