ব্রিটিশ অভিনেত্রী ফ্লোরেন্স পিউয়ের ক্যারিয়ারগ্রাফটা অদ্ভুত। কম বাজেটের স্বাধীন ঘরানার সিনেমা যেমন করেছেন, তেমনি আবার মার্ভেলের সিনেমাও করেছেন। এর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই তারকা বলেছেন, ক্যারিয়ারজুড়েই এ বৈচিত্র্য ধরে রাখতে চান তিনি। মার্ভেলের নতুন সিনেমা ‘থান্ডারবোল্টস’ দিয়ে এবার চমকে দিয়েছেন পিউ। গত মঙ্গলবার মুক্তি পাওয়া সিনেমার ট্রেলারে তাঁকে সুউচ্চ ভবন থেকে লাফসহ ধুন্ধুমার সব অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা গেছে। মার্কিন টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট ফ্যানড্যাংগোর সঙ্গে ভিডিও সাক্ষাৎকারে এ সিনেমা নিয়ে সবিস্তার কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই ‘বোমা’ ফাটান পিউ। জানান, সিনেমাটিতে নিজের স্টান্ট নিজেই করেছেন তিনি! মালয়েশিয়ার কুয়ালালমপুরে অবস্থিতি পৃথিবীর দ্বিতীয় উঁচু ভবন মার্দেকা ১১৮–এর ওপর থেকে লাফ দিয়েছেন তিনি। ২ হাজার ৭২২ ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেওয়াটা ছিল তাঁর অন্য রকম অভিজ্ঞতা।

ফ্লোরেন্স পিউ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচাপাকা খেজুর

দিনাজপুরে রাস্তার পাশে, খালে-বিলে এবং বাড়ির আনাচে-কানাচে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা খেজুর। একসময় রাস্তার ধারে অনেক খেজুর গাছ ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। নতুন করে খেজুর গাছের আবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না স্থানীয়দের। তবে প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ও বজ্রপাতের নিরোধক হিসেবে খেজুর গাছের আবাদ বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন তারা।

বছরে দুইবার ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে মিষ্টি সুস্বাদু রস, আর গরমকালে খেজুর ফল। 

এসময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হলেই চোখে পড়ছে এই কাঁচাপাকা খেজুর। এখনই অনেক খেজুরে রঙ ধরেছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি, এখনও খেতে কষ কষ লাগছে, পাকলে তা মিষ্টি হবে। পাকলে অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন। এখনও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে খেজুরগুলো পাকতে। 

সরকারি সড়কের পাশের গাছগুলো থেকে খেজুর পেড়ে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা খেতেও শুরু করেছে। 

সদর উপজেলার রামনগর এলাকার রুবেল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ির পাশে একটি খেজুরের গাছ রয়েছে। বয়স প্রায় অনেক হয়েছে। শীতকালে প্রতিদিন অনেক রস হতো। এখন গরমের সময় গাছে অনেক খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো কাঁচাপাকা, পাকলে খেতে অনেক মিষ্টি। এখনও এক মাস সময় লাগবে খেজুরে পাক ধরতে।” 

বিরামপুর রেলগট এলাকার আরাফাত মিয়া বলেন, “এই রেলগেটের দক্ষিণ পাশে রেললাইনের দুই পাশে অনেক খেজুরের গাছ রয়েছে। শীতকালে রাজশাহী থেকে কয়েকজন লোক এসে গাছগুলো থেকে রস নামায়। প্রতিদিন অনেক রস হয়। রস থেকে তারা গুড় তৈরি করে এবং এলাকার মানুষের নিকট বিক্রি করে। এখন গরমকাল, প্রতিটি গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো পাকলে আমরা এলাকার মানুষেরা পেড়ে খাই। খেতে অনেক সুস্বাদু।” 

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ