গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত
Published: 20th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫১ হাজার ১৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
রোববার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
আল জাজিরা বলছে, শনিবারও দিনজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং এর ফলে কমপক্ষে ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য চুক্তির দাবি জানানোর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হামাস জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দি এডান আলেকজান্ডারকে ধরে রাখা প্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে। তবে ওই বন্দির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ হাজার ১৫৭ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আক্রমণে আহত হওয়া আরও ২১৯ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৪ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচাপাকা খেজুর
দিনাজপুরে রাস্তার পাশে, খালে-বিলে এবং বাড়ির আনাচে-কানাচে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা খেজুর। একসময় রাস্তার ধারে অনেক খেজুর গাছ ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। নতুন করে খেজুর গাছের আবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না স্থানীয়দের। তবে প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ও বজ্রপাতের নিরোধক হিসেবে খেজুর গাছের আবাদ বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন তারা।
বছরে দুইবার ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে মিষ্টি সুস্বাদু রস, আর গরমকালে খেজুর ফল।
এসময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হলেই চোখে পড়ছে এই কাঁচাপাকা খেজুর। এখনই অনেক খেজুরে রঙ ধরেছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি, এখনও খেতে কষ কষ লাগছে, পাকলে তা মিষ্টি হবে। পাকলে অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন। এখনও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে খেজুরগুলো পাকতে।
সরকারি সড়কের পাশের গাছগুলো থেকে খেজুর পেড়ে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা খেতেও শুরু করেছে।
সদর উপজেলার রামনগর এলাকার রুবেল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ির পাশে একটি খেজুরের গাছ রয়েছে। বয়স প্রায় অনেক হয়েছে। শীতকালে প্রতিদিন অনেক রস হতো। এখন গরমের সময় গাছে অনেক খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো কাঁচাপাকা, পাকলে খেতে অনেক মিষ্টি। এখনও এক মাস সময় লাগবে খেজুরে পাক ধরতে।”
বিরামপুর রেলগট এলাকার আরাফাত মিয়া বলেন, “এই রেলগেটের দক্ষিণ পাশে রেললাইনের দুই পাশে অনেক খেজুরের গাছ রয়েছে। শীতকালে রাজশাহী থেকে কয়েকজন লোক এসে গাছগুলো থেকে রস নামায়। প্রতিদিন অনেক রস হয়। রস থেকে তারা গুড় তৈরি করে এবং এলাকার মানুষের নিকট বিক্রি করে। এখন গরমকাল, প্রতিটি গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো পাকলে আমরা এলাকার মানুষেরা পেড়ে খাই। খেতে অনেক সুস্বাদু।”
ঢাকা/মোসলেম/টিপু