শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেছেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো রকম আপসের সুযোগ নেই। প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখতে হবে।”

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ‘অধিকতর উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগত মান রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি এসব কথা বলেন। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধি দল। তারা সভার পূর্বে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং তাদের পর্যবেক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামনে উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপ-উপাচার্য ড.

সাজেদুল করিম আরো বলেন, “বিডিংয়ের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর মান পর্যন্ত কোনো কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না। সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে। যেকোনো সময় আমি নিজেই পরিদর্শনে যেতে পারি, তখন যেন কেউ অনুপস্থিত না থাকেন।”

তিনি বলেন, “রড, সিমেন্ট ও বালির মতো মূল উপকরণে মানের কোনো ঘাটতি চলবে না। সময়মতো কাজ শেষ করার পাশাপাশি গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ভবনগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা।”

ঠিকাদারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাজ যেন ভবিষ্যতে আপনাদের গর্বের বিষয় হয়। মানুষ যেন বলতে পারেন, এ উন্নয়ন কাজ আপনারাই করেছেন। আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই।”

সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আসিফ সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক তানভীর মোর্শেদ ও মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস, উপ-রেজিস্ট্রার শাহীন আহমদ চৌধুরী এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানজিম শামস প্রমুখ।

বর্তমানে শাবিপ্রবিতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০তলা বিশিষ্ট চারটি শিক্ষাভবন, একটি ছাত্র হল, একটি ছাত্রী হল, একটি প্রশাসনিক ভবন, চারতলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ, ১১তলা বিশিষ্ট একটি শিক্ষক-কর্মকর্তা আবাসিক ভবন, দ্বিতল বিশিষ্ট একটি সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপ, এক কিলোমিটার রাস্তায় দুইটি স্প্যান ব্রিজ এবং একটি পাওয়ার স্টেশনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

অভিযানে বন্ধ চলে গেলেই চালু

ফরিদপুরের সালথায় কুমার নদে প্রশাসনের অভিযানের পর বন্ধ ছিল বালু উত্তোলন। পরে ফের ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন এক বালু ব্যবসায়ী। এতে নদীর পার ভেঙে পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার খারদিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে ড্রেজার বসানো হয়েছে। অবৈধভাবে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে নদীর দুই পারে থাকা পাকা সড়ক, ব্রিজ, নদীপারের জনবসতি, গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। সড়কের উপর দিয়ে মাটি ফেলে উঁচু করে ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। 
জানা যায়, নাসির হোসেন নামে এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদসহ বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন। এটাই তাঁর পেশা। তাঁর একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এ কারণে তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
কুমার নদের দুই পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কুমার নদটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিছু দিন আগে নদের দুই পারের পাকা সড়ক সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর পরও প্রভাব খাটিয়ে নাসির দুই মাস ধরে এ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন। গত ৬ এপ্রিল বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান চালিয়ে তাঁর ড্রেজার অকেজো করে ও পাইপ ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের কিছুদিন পরই প্রশাসনকে উপেক্ষা করে একই স্থানে বালু উত্তোলন করেছেন নাসির। আইন অনুযায়ী খোলা স্থান ও নদীবক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নাসির সেই আইন তোয়াক্কা করছেন না।
অভিযুক্ত নাসির হোসেন বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই কুমার নদ থেকে ফের বালু তোলা শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, কয়েকদিন বালু তুলেই বন্ধ করে দেবেন। এই নিয়ে লেখালেখি করে লাভ হবে না বলে পরামর্শ দেন তিনি।
যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, নদ থেকে বালু তোলায় রাস্তার পাড় ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রাস্তা ভাঙলে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে। এতে এই এলাকার জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে জানান। 
বালু তোলার বিষয়টি এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানলেন জানিয়ে সালথার ইউএনও আনিছুর রহমান বালী বলেন, কিছুদিন আগে ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরও বালু তোলা বন্ধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান চালানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ