রংপুরসহ (বেরোবি) আঞ্চলিক পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুই শিফটে রংপুর শহরের তিনটি প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রথম শিফটে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৪ জন, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৪ জন এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিন পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট উপস্থিত পরীক্ষার্থীর হার ৯২.

৮০ শতাংশ।

দ্বিতীয় শিফটে দুপুর আড়াইটা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩৭ জন, দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৯৬২ এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তিন পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট উপস্থিতির হার ৯৩.১৯ শতাংশ।

বেরোবি কেন্দ্রে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীরা জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা দিতে পারায় তারা সন্তুষ্ট। এ পরীক্ষা যদি রাজশাহীতে হত, তাহলে নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হত। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র হওয়ায় তারা সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।

বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বেরোবি কেন্দ্রে উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমগ্র উত্তর অঞ্চলের পরীক্ষার্থীরা রংপুরের তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারায় তাদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এই ভর্তি পরীক্ষায় রংপুরের তিনটি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার বেরোবি ফোকাল পয়েন্ট সমন্বয়কারী ও প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান, রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশীদ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের গ্রন্থাগারিক ড. মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ল অ য ন ড কল জ ক ন দ র পর ক ষ র থ পর ক ষ য় অন ষ ঠ ত ন পর ক ষ উপস থ ত র ভর ত

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য গোপন করে পদ নেওয়া নোয়াখালীর সেই ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন ওরফে রাব্বিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তথ্য গোপন করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া মুরাদ হোসেন নোয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ভুলুয়া কলেজ শাখার ২০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করে। ওই কলেজের ছাত্র না হওয়ার পরও মুরাদ হোসেনকে কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করায় নেতা-কর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কমিটি ঘোষণার পর মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর আজ তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীনের অনুমোদনক্রমে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটির ছাত্র না হলেও এইচএসসিতে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে পড়েছেন মুরাদ হোসেন। ২০২০ সালে তিনি কলেজটি থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নোয়াখালী সরকারি কলেজের বিবিএস (স্নাতক) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তাঁর রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর যাচাই করে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযোগ ওঠার পর মুরাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছেন। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘নোয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার আগেই ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু কমিটির অনুমোদন হতে দেরি হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ