৯৭ রানে অপরাজিত থাকা বাটলারকে সেঞ্চুরির সুযোগ দেননি তেওয়াতিয়া
Published: 19th, April 2025 GMT
আইপিএলে এর আগে কখনোই ২০০ বা তার বেশি রান করে হারেনি দিল্লি ক্যাপিটলাস। কিন্তু কখনো ঘটেনি মানে যে কখনো ঘটবে না, তা তো নয়। যেমন আজ ২০৩ রান করেও শেষ পর্যন্ত পারল না দিল্লি।
জস বাটলারের অপরাজিত ৫৪ বলে ৯৭ রানে আইপিএলে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম জয়টি আদায় করে নিয়েছে গুজরাট টাইটানস। অন্য দিকে দিল্লির এটি দ্বিতীয় হার। এই হারে শীর্ষে স্থান থেকে দুইয়ে নামল দিল্লি, আর শীর্ষে উঠল গুজরাট।
জমে ওঠা ম্যাচে শেষ ওভারে দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১০ রান। আর সেঞ্চুরির জন্য বাটলারের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা রাহুল তেওয়াতিয়া সেঞ্চুরি করার সুযোগই দেননি বাটলারকে। প্রথম বলে ছয় ও দ্বিতীয় বলে চার মেরে নিশ্চিত করে দলের জয়।
আরও পড়ুনবেঞ্চে বসে থাকতে থাকতেই শেষ হয়ে গেল ফিলিপসের আইপিএল১২ এপ্রিল ২০২৫আহমেদাবাদে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে শুবমান গিলকে হারালেও ভড়কে যায়নি গুজরাট। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাই সুদর্শন এবং বাটলার দলকে নিয়ে যান ৭৪ রানে। ২১ বলে ৩৬ করা সুদর্শনকে ফেরান কুলদীপ যাদব। ম্যাচে দিল্লির বোলারদের সাফল্য ছিল এটুকুই।
বাটলার ও রাদারফোর্ড জুটির কাছেই মূলত হেরেছে দিল্লি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অভিযানে বন্ধ চলে গেলেই চালু
ফরিদপুরের সালথায় কুমার নদে প্রশাসনের অভিযানের পর বন্ধ ছিল বালু উত্তোলন। পরে ফের ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন এক বালু ব্যবসায়ী। এতে নদীর পার ভেঙে পাকা সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধসের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার খারদিয়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদে ড্রেজার বসানো হয়েছে। অবৈধভাবে বালু তোলায় হুমকিতে পড়েছে নদীর দুই পারে থাকা পাকা সড়ক, ব্রিজ, নদীপারের জনবসতি, গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি। সড়কের উপর দিয়ে মাটি ফেলে উঁচু করে ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, নাসির হোসেন নামে এক বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদসহ বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছেন। এটাই তাঁর পেশা। তাঁর একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এ কারণে তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন।
কুমার নদের দুই পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কুমার নদটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিছু দিন আগে নদের দুই পারের পাকা সড়ক সংস্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর পরও প্রভাব খাটিয়ে নাসির দুই মাস ধরে এ নদ থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন। গত ৬ এপ্রিল বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান চালিয়ে তাঁর ড্রেজার অকেজো করে ও পাইপ ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের কিছুদিন পরই প্রশাসনকে উপেক্ষা করে একই স্থানে বালু উত্তোলন করেছেন নাসির। আইন অনুযায়ী খোলা স্থান ও নদীবক্ষ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বালু উত্তোলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নাসির সেই আইন তোয়াক্কা করছেন না।
অভিযুক্ত নাসির হোসেন বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই কুমার নদ থেকে ফের বালু তোলা শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, কয়েকদিন বালু তুলেই বন্ধ করে দেবেন। এই নিয়ে লেখালেখি করে লাভ হবে না বলে পরামর্শ দেন তিনি।
যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, নদ থেকে বালু তোলায় রাস্তার পাড় ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। রাস্তা ভাঙলে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে। এতে এই এলাকার জনগণের ভোগান্তি বাড়বে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানাবেন বলে জানান।
বালু তোলার বিষয়টি এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানলেন জানিয়ে সালথার ইউএনও আনিছুর রহমান বালী বলেন, কিছুদিন আগে ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরও বালু তোলা বন্ধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আবারও অভিযান চালানো হবে।