নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দু’টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার পৃথক ভাবে কমিটি দু’টি গঠন করেন। 

এরমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশে এক সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। দু’টি কমিটিই শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। 

গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আড়াইহাজার থানার ওসি মো.

এনায়েত হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলার পাশাপাশি জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

গোটা উপজেলায় শুরু হয় সমালোনা। সাধারণ মানুষকে বলতে শোনা যায়, ৫ আগষ্টের মতো বড় ঘটনার পরেও পুলিশের চরিত্র পাল্টায়নি। 

এদিকে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে শনিবার সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের থানায় ডেকে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ওসি এনায়েত হোসেন। তিনি ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘২-৩ মাস আগে খাগকান্দা এলাকায় কিস্তির টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী এক নারী থানায় অভিযোগ করেন। তবে ঘটনাটি অনেকদিন আগের হওয়ায় ভুক্তভোগীদের নাম ভুলে গেছি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন, মাসুম শিকারীসহ আরও কয়েকজনের সামনে পাওনাদারের আনুমানিক দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার হাতে দেওয়া হয়। সেই টাকা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই টাকার পরিমান কম দেওয়ায় আমি বলেছি, এত অল্প টাকায় মানসম্মান থাকে না। সেই ঘটনাকে কে বা কারা ভিন্ন রূপ দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।’ 

এদিকে শনিবার নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি আড়াইহাজার থানায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার বলেন, তদন্ত শুরু করেছি।

এখনও শেষ করতে পারিনি। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেবো। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। 

উল্লেখ্য, আড়াইহাজার থানায় ঘুষ ব্যতিত সাধারণ ডায়েরীও করা যায় না। সাধারণ ডায়েরী করতে হলেও ওসিকে নিদ্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয়। মামলা করতে গেলে সেই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র তদন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই কর্মসূচি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন, যারা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি একটি ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করে। সেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে গত বুধবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তুলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বাসদের জেলা সদস্য বেল্লাল গাজী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য রেজওয়ান ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সেলিম মাহমুদ রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকায় অবস্থিত রবিনটেক্স গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে নির্যাতিত শ্রমিকদের রক্ষায় আইনগত সহযোগিতার ব্যবস্থা করছিলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছিলেন, এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।

শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • থানার ওসির ‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
  • গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের
  • ছোট্ট শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বালুর মাঠ থেকে বিদ্যুৎমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
  • বন্দরে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে সমাবেশ 
  • দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে দক্ষ ও আদর্শবান দায়িত্বশীল তৈরির বিকল্প নেই 
  • শ্রমিক নেতা আব্দুল মোমিন ও আব্দুল মান্নান কে ফুলেল শুভেচ্ছা
  • নারায়ণগঞ্জে ঝুটের গোডাউন ও দোকানে আগুন
  • শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল