জামায়াতের উদ্যোগে শুরু বির্জাখাল খনন
Published: 19th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে বির্জা খাল পরিষ্কার ও খনন শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সকালে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
পরে ‘সবার সহযোগিতায় বির্জা খাল পাবে প্রাণ’– স্লোগানে জামায়াত চট্টগ্রাম মহানগরের দুই শতাধিক নেতাকর্মী খালের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন। প্রথম দিনে একটি এস্কভেটর নামিয়ে তলা থেকে মাটি কাটা হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা সমকালকে জানান, সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে তারা খালটি খনন ও পরিষ্কার করছেন। এ কাজে কোটি টাকা লাগলেও দল থেকে দেওয়া হবে।
উদ্বোধনের আগে নগরীর বাকলিয়াস্থ ইছহাকের পুলের অছি মিয়া দোস্ত ভবন মাঠে গণসমাবেশ হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে উন্নয়নের নামে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতার নগরী করা হয়েছে। আইন আইনের জায়গায় থাকবে। এখন থেকে আমরা কঠোর হব।’
সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘শুধু জলাবদ্ধতা নিরসন নয়, চসিকে যে কোনো উন্নয়নে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব। হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা ভুলে মানুষের জন্য কাজ করব।’
এ সময় তিনি মেয়রের কাছে চায়না শহরের মতো সুন্দর করে গড়ে তুলতে কয়েকটি বাজার এবং আঙ্গিনাসহ আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ১০টি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
জামায়াতের মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার আই ইউ এ চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম পর ষ ক র ন রসন
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় জামায়াতের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলো স্থগিত
কিছুদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন আসনে জনসংযোগের পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে নির্বাচনের তফসিল হওয়ায় সেই কর্মসূচিগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটি।
আজ শুক্রবার জামায়াতের মিডিয়া বিভাগ থেকে পূর্বনির্ধারিত সব কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানানো হয়। তার এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।
জামায়াতের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর কাফরুলের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সাড়ে ৯টায় মিরপুর-১ নম্বরের ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৪ আসনের গণসমাবেশ এবং বেলা আড়াইটায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা-৭ আসনের জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলীয় আমির শফিকুর রহমানের।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় মধুবাগ মাঠে ঢাকা-১২ আসনের গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং সকাল ১০টায় শ্যামলী স্কয়ারের সামনে থেকে ঢাকা-১৩ আসনের গণমিছিলে অংশ নেওয়ার কথা ছিল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও এই আসনের প্রার্থী মো. মোবারক হোসাইনের।
তবে এই কর্মসূচিগুলোর কোনোটিই হয়নি। আগামীকাল শনিবারের কর্মসূচিগুলোও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত নেতাদের নির্বাচনের প্রচারমূলক পোস্টারও সরিয়ে নিতে দেখা গেছে দলটির নেতা–কর্মীদের।
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতেই এই পদক্ষপ বলে জানান জামায়াতের নেতারা। আচরণবিধির ১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।
জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত আমিরের কর্মসূচিগুলো ছিল পূর্বনির্ধারিত। সে কারণে সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে তফসিল ঘোষণার পরে আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবারের সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধির ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো স্থাপনা কিংবা যানবাহনে কোনো প্রকার লিফলেট বা হ্যান্ডবিলও সাঁটানো যাবে না।
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এগুলো তফসিলের পরপরই সরিয়ে ফেলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কিছু বলার আগে জামায়াত নিজস্ব উদ্যোগে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে। জামায়াতের আমিরের নির্দেশনায় তা করা হচ্ছে।