সংকটময় মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলনই জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে: মিয়া গোলাম পরওয়ার
Published: 19th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মুহাম্মদ গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জামায়াত সর্বদা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল থেকে প্রহসনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত করে রাষ্টীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনের নামে একদলীয় ক্ষমতা কায়েম করে দেশের রাজনীতিকে অকার্যকর করে দিয়েছিল। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। দেশের সংকটময় মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলনই পারে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে।’
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আরেকটি জনসভায় যাওয়ার প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত পথসভায় আয়োজন করা হয়।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনই এখন জাতির অগ্রাধিকার। এর আগে আওয়ামী লীগ গণমাধ্যম ও বিচার ব্যবস্থাকে কব্জায় নিয়ে বিরোধী দল ও মতের রাজনীতিকে স্তব্ধ করে সারাজীবনের জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এই বিপ্লব ছিল জনগণের মুক্তির রূপরেখা।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু নাছের, সাতকানিয়া উপজেলা আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ম য গ ল ম পরওয র ম হ ম মদ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সয়াবিন তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি গণসংহতি আন্দোলনের
সয়াবিন তেলের দাম ও শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী উল্লেখ করে এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। একই সঙ্গে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গণ–অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখা। যথাযথ বাজার মনিটরিং ও সিন্ডিকেট উৎখাতের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলন।
মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের নীতি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের জীবনযাত্রায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনা ও শিল্পক্ষেত্রের বিকাশের পথ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বিপরীত সিদ্ধান্ত জনগণকে ক্ষুব্ধ করবে।