কুবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন সরবরাহ, আহ্বায়ককে অব্যাহতি
Published: 19th, April 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউনিটটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে ভর্তি কমিটি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষে এ অভিযোগ ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির একাধিক সূত্র জানায়, ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র নির্ধারিত থাকলেও কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক হলে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে ব্যবসায় শিক্ষার প্রশ্নপত্র তুলে দেওয়া হয়। পরে ভুল বুঝতে পেরে প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
কুবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
যানজটে স্বপ্ন ভঙ্গ কুবির এক ভর্তিচ্ছুর
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমরা যারা বিভাগ পরিবর্তন করে মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, আমাদের কেন্দ্র ছিল মূলত সেই বিভাগের জন্য নির্ধারিত। কিন্তু ওই ভবনের কয়েকটি কক্ষে ভুল করে আমাদের কাছে ব্যবসায় শিক্ষার প্রশ্ন দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর বিষয়টি সংশোধন করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে খুব নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ১ ঘণ্টার পূর্ণ সময় দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা মোটামুটি ভালোই হয়েছে।”
চট্টগ্রাম থেকে পরীক্ষা দিতে আসা মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, “ভুল প্রশ্ন দেওয়ার কারণে পরীক্ষার শুরুতে আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকদের জানালে সেটা ফিরিয়ে নিয়ে সঠিক প্রশ্ন দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
এদিকে, পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্ন প্রদানের দায়ে ওই ইউনিটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে ভর্তি কমিটি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “ঘটনার পর আমি নিজে ওই কক্ষে গিয়েছিলাম। দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও এমন ভুল অনাকাঙ্ক্ষিত এবং তা অপেশাদারিত্বের পরিচায়ক। দায়িত্বরতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনার জন্য ইতোমধ্যে উনাকে (আহ্বায়ক) ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে উনাকে এ ঘটনার কারণ জানানোর জন্য শোকজ করা হয়েছে।”
ইউনিটের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনকে এ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি ফলাফলসহ বাকিসব কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।”
অব্যাহতির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, “আমি এ ধরনের কোনো লিখিত চিঠি পাইনি। লিখিত চিঠি পাওয়ার পর মন্তব্য করতে পারবো।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় শ ক ষ পর ক ষ র ইউন ট র র জন য র ভর ত ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার একমাত্র কেন্দ্র হলো মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা। উপজেলা সদরের এই কেন্দ্রের অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র হলো মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কলেজ বিভাগে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গণিত পরীক্ষা চলমান অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাধানগর ফজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জাকির হোসেন তার শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে যান। এ সময় দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন তাকে নকল সরবরাহ থেকে বিরত করে তাকে কেন্দ্র সচিবের কক্ষে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মধুপুর থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া উপস্থিত হয়ে বিষয়টি অবগত হন এবং তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেন।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা, ‘আন্দোলন চলবে’
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় মধুপুর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধুপুর আদর্শ ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মজিদ জানান, পরীক্ষার কেন্দ্রে অনিয়মতান্ত্রিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রাধানগর ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মধুপুর থানা কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইলে আদালতে পাঠিয়েছে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল কবীর জানান, মধুপুরে দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রে অসদুপায়ে সহযোগিতা করার অভিযোগে শিক্ষক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ঢাকা/কাওছার/বকুল