ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিক নিহতের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন
Published: 19th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার রাজশাহী বিভাগীয়, জেলা ও মহানগর শাখা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন। কর্মসূচি থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল ও সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা আমাদের ব্যথিত করেছে। গাজায় গত ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ২১১ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এই বর্বরতার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আগ্রাসনের নেপথ্যে থাকা অন্যান্য কুশীলবদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।’’
বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার রাজশাহী মহানগরের সভাপতি গুলবার আলী জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ রকির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক রফিক আলম, সরকার শরিফুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, ফজলুল করিম বাবলু প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে হাতুড়িপেটায় যুবকের মৃত্যু
টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের মা: পুলিশ
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত ইসর য় ল ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
নূর মোস্তফার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মানববন্ধন
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় গুলিতে নিহত নূর মোস্তফাকে শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং শহীদ পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে দুটি সংগঠন। স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (এসএডি) ও জুলাই রেকর্ডস নামে দুটি সংগঠন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জুলাই রেকর্ডসের সদস্য ইব্রাহিম মাহমুদ বলেন, নূর মোস্তফা গত ৫ আগস্ট কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন দুপুরে হাসপাতালে মারা যান। তাঁর বাবা শফিউল আলম আর মা নূর বেগম।
ইব্রাহিম মাহমুদ বলেন, নূর মোস্তফার মা–বাবা ১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন এবং ঈদগাঁও এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। নূর মোস্তফার জন্ম ও শিক্ষাজীবন বাংলাদেশে হলেও মা–বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তাঁর নাম জুলাই শহীদের রাষ্ট্রীয় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাঁর পরিবার কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বা সহায়তা পায়নি।
মানববন্ধনে ইব্রাহিম মাহমুদ বলেন, ‘আমরা এখানে খুব বেশি কিছুর জন্য দাঁড়াইনি। আমরা দাঁড়িয়েছি ইনসাফের জন্য। সরকারে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাকে জানানোর পর, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও যদি নূর মোস্তফাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তাহলে এটা হবে সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় লজ্জার।’
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আমরা আগেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতির জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এ ছাড়া তাঁর পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। জুলাই শহীদদের এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘নূর মোস্তফা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। অবিলম্বে তাঁকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে।’
জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভের সদস্য হাসান ইনাম বলেন, ‘একজন শহীদের স্বীকৃতি আমরা আদায় করতে পারছি না। নূর মোস্তফার স্বীকৃতির দাবিতে আমরা অনলাইনে অ্যাক্টিভিজম করলে সেখানে যাঁরা জুলাইকে উপজীব্য করে রাজনীতি করে, তাঁরা সংহতি জানাননি। নিজ দলের কর্মীদের নিয়ে কথা বললেও নূর মোস্তফাকে নিয়ে কথা বলেন না।’