কুবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
Published: 19th, April 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গুচ্ছ থেকে বের হয়ে চার বছর পর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কুবি প্রশাসন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
‘সি’ ইউনিটের ২৪০টি আসনের বিপরীতে ৯ হাজার ৯৫২ টি আবেদন জমা পড়ে।
আরো পড়ুন:
যানজটে স্বপ্ন ভঙ্গ কুবির এক ভর্তিচ্ছুর
কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে কুবিতে মানববন্ধন
চাঁদপুর থেকে পরীক্ষা দিতে আসা মো.
আরেক পরীক্ষার্থী রোবাইয়া আলম খুশবু বলেন, “পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। প্রশ্নের মান স্ট্যান্ডার্ড ছিল। ক্লাসে শিক্ষকদের ব্যবহারও ভালো ছিল। চান্স পাবো বলে আশা করা যায়।”
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল। সামান্য যে ত্রুটি ছিল, সেগুলো আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করেছি।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন ট র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটে ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিলেন শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার পাদদেশে প্রতীকী চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতীকী চেয়ারের পেছনের দিকে শিক্ষার্থীরা ‘ইন্টেরিম কী অন্ধ?’ লেখা ব্যানার ধরে ছিলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীরা শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে দুর্বার বাংলা পাদদেশের গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ভিসির প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
আরো পড়ুন:
সিকৃবিতে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে র্যাগ
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সারা দেশে ‘কাফন মিছিল’
শিক্ষার্থীরা অচিরেই বর্তমান ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। নতুন ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে ঘটে যাওয়ার ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। একই দিন দুপুরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। শিক্ষার্থীদের মিছিলের পরপরই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিপক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক দফার পক্ষে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) একই দাবিতে গ্রাফিতি এঁকেছেন তারা।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ