রূপগঞ্জে বন্ধুদের সাথে শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ দশম শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরীদল।

শনিবার সকালে উপজেলার ভোলাবো এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জোবায়ের হোসেন রূপগঞ্জের ভোলাবো ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার তপনের ছেলে। সে স্থানীয় ভোলাবো শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত ছিল।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টারদিকে ভোলাবোই শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের হোসেন এবং তার তিন বন্ধু এবছর সায়েম, সিয়াম ও রাব্বি একটি নৌকায় চড়ে দাউদপুর খেয়াঘাট থেকে ভোলাবো এলাকায় যাচ্ছিল। 

নৌকাটি নদীর মাঝামাঝি ভোলাবো ক্যাপিটাল ম্যারিনার সামনে পৌছলে পানি উঠে ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে সায়েম, সিয়াম ও রাব্বি তীরে উঠলেও ডুবে যায় জোবায়ের হোসেন।

এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল জোবায়ের হোসেন। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ৯ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদী থেকে নিখোঁজ জুবায়ের হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি লিয়াকত আলী।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: শ তলক ষ য ন র য়ণগঞ জ দশম শ র

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিলেন শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলার পাদদেশে প্রতীকী চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতীকী চেয়ারের পেছনের দিকে শিক্ষার্থীরা ‘ইন্টেরিম কী অন্ধ?’ লেখা ব্যানার ধরে ছিলেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীরা শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে দুর্বার বাংলা পাদদেশের গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ভিসির প্রতীকী চেয়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

আরো পড়ুন:

সিকৃবিতে ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে র‌্যাগ

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সারা দেশে ‘কাফন মিছিল’

শিক্ষার্থীরা অচিরেই বর্তমান ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। নতুন ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে ঘটে যাওয়ার ঘটনার সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। 

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশে করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং আগামী ২ মে হল খুলে দেওয়া ও ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত দেয় সিন্ডিকেট সভা। 

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৬ এপ্রিল ছয়টি আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। একই দিন দুপুরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। শিক্ষার্থীদের মিছিলের পরপরই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির বিপক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক দফার পক্ষে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) একই দাবিতে গ্রাফিতি এঁকেছেন তারা।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ