বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
Published: 19th, April 2025 GMT
বাগেরহাটে বাস ও ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম গাজী (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে বাগেরহাট-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলভদ্রপুর বালিয়াডাঙ্গা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনায় ইজিবাইকের চালকসহ আরও তিনজন আহত হয়।
নিহত সিয়াম গাজী মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী গ্রামের মজিবর গাজীর ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের বাবা মজিবর গাজী (৫০), তাদের প্রতিবেশী রশিদ খান (৭৫) ও ইজিবাইক চালক বাপ্পি (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহেষপুরা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো.
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাস্তার পাশে একটি ট্রাক রাখা ছিল। যার ফলে ইজিবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। যানবাহন দুটি ট্রাকটিকে পাশ কাটিয়ে সড়ক অতিক্রম করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট স ঘর ষ ন হত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
টিউমার ভেবে অস্ত্রোপচার, বেরিয়ে এল পরিণত শিশু
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের এক নারী সম্প্রতি ডিম্বাশয়ের টিউমার অপসারণের প্রস্তুতি নেন। আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাঁর একটি বড় টিউমার হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের কয়েক দিন আগে যা জানা গেল, তা সবাইকে বিস্মিত করে দিয়েছে। কারণ, এ জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। ঘটনা হলো, চিকিৎসকেরা টিউমার নয়, এই নারীর পেট থেকে বের করলেন একটি পরিণত জীবিত শিশু।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে গত ১৮ আগস্ট ৪১ বছর বয়সী সুজে লোপেজের অস্ত্রোপচার হয়। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে অনিয়মিত মাসিক এবং পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর ডিম্বাশয়ে ২২ পাউন্ড ওজনের একটি সিস্ট রয়েছে।
অস্ত্রোপচারের আগের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান লোপেজ। এতে তাঁর গর্ভধারণ পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। বিষয়টি চিকিৎসকদের বিস্মিত করে।
সাধারণত ভ্রূণ জরায়ুতে বেড়ে ওঠে। কিন্তু আলট্রাসাউন্ড ও এমআরআই স্ক্যানে নিশ্চিত হওয়া যায়, লোপেজের ভ্রূণটি তাঁর জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছে বড় টিউমারের পেছনে পেটের ভেতরে যকৃতের কাছাকাছি স্থানে।
চিকিৎসকেরা এটাকে ‘অ্যাবডোমিনাল একটোপিক প্রেগন্যান্সি’ বলে জানান। এই ধরনের গর্ভধারণ অত্যন্ত বিরলও ঝুঁকিপূর্ণ।
একটোপিক প্রেগন্যান্সিতে সাধারণত নিষিক্ত ডিম জরায়ুর বাইরে, কোনো অঙ্গ বা রক্তনালিতে যুক্ত হয়। এতে তীব্র রক্তক্ষরণ এবং মায়ের জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের গর্ভধারণ শুরুতেই ধরা পড়ে এবং পূর্ণ মেয়াদে পৌঁছায় না। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে সময়মতো শনাক্ত হলে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুকে জীবিত বের করা সম্ভব হয়।
লোপেজের অস্ত্রোপচারের দিন প্রায় ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি দল একসঙ্গে কাজ করে। প্রথমে বড় টিউমারটি সরানো হয়। এরপর বের করা হয় শিশুকে। তার নাম রাখা হয়েছে রিউ। জন্মের সময় তার ওজন ছিল প্রায় আট পাউন্ড।
অস্ত্রোপচারের সময় লোপেজের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে রক্ত দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। তবে কিছু সময় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল।
চিকিৎসার পর মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসকেরা বলেন, পূর্ণমেয়াদি অ্যাবডোমিনাল একটোপিক প্রেগন্যান্সি থেকে মা ও শিশুর নিরাপদ ফিরে আসা চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বিরল সাফল্য।