ভারতীয় নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে। গতকাল শুক্রবার রাতে শরীরে অস্বস্তি বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মাথা ঘোরার পাশাপাশি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল পরিচালকের। আজ শনিবার সকাল থেকে নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তবে ঠিক কী হয়েছে, এখনো জানা যায়নি।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা চলছে, সব পরীক্ষার ফল হাতে এলেই বলা যাবে। তবে সৃজিতকে কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। পরিচালকের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
সম্প্রতি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সৃজিতের নতুন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। ‘হেমলক সোসাইটি’র সিক্যুয়েল এটি। পয়লা বৈশাখেই মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

প্রেক্ষাগৃহে বেশ ভালো ব্যবসা করছে এটি। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক থেকে সমালোচকেরা। তারই মাঝে সৃজিতের হঠাৎ অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগীরা। পরিচালকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তাঁরা।
এদিকে আবার জুন মাস থেকে সৃজিত শুরু করছেন ‘লহো গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির শুটিং। এই ছবিতে নাম ভূমিকায় দেখা যায় দিব্যজ্যোতি দত্তকে। নটি বিনোদিনীর চরিত্রে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।

২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।

মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ