বিদায়ী সপ্তাহে মূলধন কমেছে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা
Published: 19th, April 2025 GMT
দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে বিদায়ী সপ্তাহের (১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। একই সঙ্গে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৭.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, দর কমেছে ২৩৫টির ও দর অপরিবর্তিত ১৯ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫০.৩০ পয়েন্ট বা ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৯ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৮১০ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৬৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ২.২২ শতাংশ কমে ৯২৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ৪.৫৭ শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৪৮ পয়েন্ট অপরিবর্তীত রয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪ হাজার ৯৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭৭৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির, দর কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন আর ব দ ন কম ছ ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। দিন শেষে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্র জানিয়েছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৮.৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৭২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২.৭৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৯০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮২টির।
আরো পড়ুন:
ব্যবসা শুরু করতে ব্যর্থ এসকিউ ব্রোকারের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি
সূচকের পতন, কমেছে শেয়ারদর
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৮.৩৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৪.০২ পয়েন্ট কমে ৯২৭ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৬.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৪টি কোম্পানির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
সিএসইতে ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক