সন্তানকে প্রাণোচ্ছল করে তুলতে ১৬৫ বছর আগের এই সুইডিশ রহস্য মেনে চলুন
Published: 19th, April 2025 GMT
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকে নর্ডিক দেশগুলো। এর মধ্যে অন্যতম সুইডেন। দেশটিতে ১৬৫ বছর আগে থেকেই একটি বিশেষ জীবনধারার চর্চা আছে, যার মাধ্যমে শিশুকে সহজেই ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ধারণাটি ‘ফ্রিলুফৎসলিভ’ বা ‘ওপেন এয়ার লাইফ’ নামে বহুল পরিচিত, যার অর্থ প্রকৃতিকে আপন করে নেওয়া ও বাইরের পরিবেশে সময় কাটানো। প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার এই জীবনদর্শন সুইডিশ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চলুন জেনে নিই, কীভাবে এই দর্শন আপনার সন্তান পালনে কাজে লাগাতে পারেন।
বাইরে যাওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করুনবর্তমানে টেলিভিশন, মুঠোফোনসহ নানা প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুরা প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। যার ফলে তাদের মনোযোগেও দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। অথচ মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটালে শিশুর মানসিক বিকাশ হয় ভালোভাবে। তাই মা-বাবার উচিত প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় শিশুদের প্রকৃতির মধ্যে কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া। নাগরিক জীবনে অসম্ভব মনে হতে পারে, কিন্তু আগেভাগেই সময় নির্ধারণ করলে তা সহজ হয়ে যায়। সুইডিশ সংস্কৃতিতে সকাল বা সন্ধ্যার হাঁটাকে ‘পবিত্র কাজ’ মনে করা হয়। সন্তানকে নিয়ে প্রতিদিন এ সময় হাঁটার অভ্যাস তৈরি করলে প্রকৃতির কাছাকাছি আসার পাশাপাশি মা-বাবার সঙ্গে শিশুর সম্পর্কও দৃঢ় হয়।
প্রকৃতির সঙ্গে শিশুর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রথমে আশপাশের প্রকৃতি চেনানো দিয়ে শুরু করুন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।
২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস