গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে কী খাবেন
Published: 19th, April 2025 GMT
গ্রীষ্মকাল চলছে। গরমে শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পানি ও খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পানিশূন্যতা ও হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান ও খনিজসমৃদ্ধ পানীয় গ্রহণ করা উচিত। কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয়র তালিকা দেওয়া হলো, যা গরমে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
পানিসবচেয়ে সহজলভ্য ও দরকারি পানীয় হলো পানি। এটি শরীরের তাপমাত্রা ও লবণপানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই গরমে দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার।
কাঁচা আমের জুসকাঁচা আমে ভিটামিন সি, এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা রোগপ্রতিরোধ–ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। কাঁচা আমের জুস শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করে ও ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে।
ডাবের পানিডাবের পানি প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট–সমৃদ্ধ, যা পানি ও পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে কিডনির রোগীদের ডাব খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
ফলের রসতাজা ফল, যেমন বেল, আনারস বা তরমুজের রস গরমে উপযোগী। দোকানের বা চিনিযুক্ত জুস পরিহার করে বাড়িতে তৈরি করে নিন। আলাদা চিনি বা লবণ না মেশানোই ভালো। এগুলো ভিটামিন এবং মিনারেল–সমৃদ্ধ, যা শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করে।
লেবুর শরবতলেবুর শরবত ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ এবং শরীরকে তরতাজা করে। লেবুর শরবত শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ–ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়ক।
দই বা ঘোলঠান্ডা দইয়ের ঘোল বা লাচ্ছি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। দই ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। দই বিভিন্ন ফল, বাদাম বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ বাড়ে।
শসার পানিশসা প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা ও হাইড্রেটিং। শসার পানীয় তৈরি করতে শসা কেটে পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে ও ডিটক্সিফাই করতে সহায়ক।
তোকমার শরবত
এটি শরীর ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ডিটক্স ওয়াটারশরীর ঠান্ডা রাখতে ঘরেই শসা, লেবু ও পুদিনাপাতা দিয়ে বানিয়ে নিন ডিটক্স ওয়াটার। পুদিনাপাতা ও লেবুমিশ্রিত এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়ায় ও শরীর ঠান্ডা রাখে। এ ছাড়া যেকোনো ফল দিয়ে বানানো ডিটক্স ওয়াটার স্টিল বা কাচের পাত্রে বানাবেন। প্লাস্টিকের জারে না বানানোই ভালো। ডিটক্স ওয়াটার একসঙ্গে বেশি পরিমাণে না পান করে সারা দিনে অল্প অল্প পান করুন। বানানোর পর ডিটক্স ওয়াটার ফ্রিজে রেখে দিন। বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে।
লাজিনা ইসলাম চৌধুরী, পুষ্টিবিদ, পিপলস হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সহ য ক
এছাড়াও পড়ুন:
শসা-লেবুর শরবতের রেসিপি
ছবি: প্রথম আলো