সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): অংশীদারি ব্যবসায় সফলতা পাবেন। পারিবারিক দুশ্চিন্তা পূর্বের তুলনায় কমে যাবে। যানবাহনে সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য কারো বিদেশ ভ্রমণের যোগ রয়েছে। প্রেমের ক্ষেত্রে আপনার কিছুটা সতর্ক হতে হবে।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১২-১৮ এপ্রিল)
এ সপ্তাহের রাশিফল (৫-১১ এপ্রিল)
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): স্থাবর সম্পত্তি লাভের সুযোগ আসবে। মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করুন। নেতিবাচক পরিবেশ থেকে নিজকে সরিয়ে রাখুন। প্রণয়ঘটিত বিষয়ে সফলতা আসবে। দীর্ঘ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। প্রাত্যহিক জীবনে আনন্দ উপভোগ করবেন।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): সাংসারিক দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ইতিবাচক সহনশীলতা বাড়াতে হবে। শারীরিক ও আর্থিক বিষয় আপনার জন্য শুভ নয়। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পেশাগত কাজে জটিলতা বাড়তে পারে।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): অর্থনৈতিক বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে। সফলতার জন্য আত্মশক্তিতে ভরপুর থাকুন। দোদুল্যমান মানসিকতার জন্য পেশাগত কাজে সফলতা লাভের অন্তরায় হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। সহজ সরল জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): আর্থিক ভাগ্য সুপ্রসন্ন। পরিবারে আপনার জন্য গুরুত্ব ও সম্মান বাড়বে। কর্মজীবনে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হতে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। বাস্তবতা বিবর্জিত আবেগকে প্রশ্রয় দেবেন না।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): সুস্বাস্থ্য রক্ষায় পুষ্টিকর আহার ও নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক মতানৈক্য এড়িয়ে চলুন। কারোর সমালোচনায় ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করুন। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): পারিবারিক ও আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে পারে। আবেগ প্রবণতার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। রোমান্টিক সম্পর্কে আনন্দ অনুভব করবেন। দাম্পত্য ও ব্যবসায়িক বিষয় আপনার অনুকূলে নাও থাকতে পারে।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): সাফল্য লাভ হবে, তবে তার সঙ্গে ধৈর্য ও একাগ্রতা বৃদ্ধি করুন। পারিবারিক বিষয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করুন। আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে পারে। কর্মজীবনে নানামুখী চাপ বাড়তে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ভ্রমণ শুভ।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ভুগতে পারেন। পারিবারিক জীবন ভালো যাবে। অর্থের বিষয়ে অমিতব্যয়িতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রোমান্টিক সম্পর্কে আনন্দ পাবেন। মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। বাত জাতীয় সমস্যায় ভুগতে পারেন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ার): পারিবারিক জীবনে সমন্বয় করে চলার চেষ্টা করুন। প্রিয়জন আপনাকে ভুল বুঝতে পারে। আর্থিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। নেতিবাচক পরিবেশ আপনার জন্য শুভ নয়। খাদ্য নির্বাচনে বিশেষ সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে আপনার সুনাম বাড়বে। রাগ বা জেদের কারণে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। পারিবার শান্তি বজায় থাকবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সপ্তাহটি ভালো যাবে।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): বিদেশযাত্রার যোগ শুভ। দুর্ঘটনা থেকে সাবধান থাকুন। অনিয়ন্ত্রিত রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। আর্থিক ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। প্রেমে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। উত্তেজিত অবস্থায় কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না। আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে পাবেন।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল ন র জন য আর থ ক আপন র সতর ক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
তওবার অশ্রু সবচেয়ে পবিত্র অশ্রু
আল্লাহ-তায়ালা তওবা ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। তিনি বান্দার তাওবার কারণে কত বেশি খুশি হন, তার একটি উদাহরণ বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়।
মরুভূমিতে এক ব্যক্তির উট হারিয়ে গেছে। এই উটের ওপর সে পথের বোঝা ও খাওয়া-দাওয়া বহন করত। এখন সে নিঃস্ব। কোথাও একটু ছায়া নেই, পানি নেই। মরু বিয়াবানে হতাশার শিকার হয়ে এখন পাথরের আড়ালে বসে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছে। এভাবে এখন সময় তার চোখে তন্দ্রা নেমে আসে। এমন সময় হঠাৎ চোখ মেলে সে নিজের হারানো উটকে দেখে তার সমস্ত আসবাবপত্রসহ তার সামনে হাজির। সে ঝটকা মেরে দাঁড়িয়ে উটের লাগাম হাতে নেয় এবং আনন্দের আতিশয্যে তার মুখ থেকে নানা শব্দ উচ্চারণ হয়। খুশির আধিক্যে তার মুখ থেকে বিপরীত বাক্য বের হয়ে যায় যে, হে আল্লাহ তুমি আমার বান্দা, আমি তোমার প্রভু।
আরও পড়ুনউম্মে সালামা (রা.): ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারী০৭ এপ্রিল ২০২৫আল্লাহও বান্দার অনুতপ্ত তাওবায় তেমন খুশি হন। (মুসলিম, হাদিস: ২,৭৪৭; বায়হাকি, হাদিস: ৬,৭০৩)
বান্দার তওবায় তিনি এত খুশি হন যে, তাকে জান্নাত ও তাঁর সন্তুষ্টি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। আল্লাহ তার বিশ্বাসী বান্দাদের আহ্বান করে বলেন, ‘বিশ্বাসী বান্দারা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা নুর, আয়াত: ৩১)
তওবার অশ্রুতে হৃদয় পরিচ্ছন্ন হয়। তওবা হলো লজ্জার আগুন যা হৃদয়ে প্রজ্বলিত হয় এবং অনুতাপে অনুভূতি যা চোখের অশ্রু হয়ে প্রবাহিত হয়। আল্লাহর পথে আগুয়ান হওয়ার এটাই প্রথম পদক্ষেপ এবং আখেরাতে সফলতা প্রত্যাশীদের পুঁজি। আল্লাহর দিকে মনোনিবেশকারীদের প্রথম স্তর এবং দৃঢ়তার চাবি। যখন মানুষ গভীর ঘুমের আনন্দে বিভোর থাকে, তাওবাকারীর হৃদয় আল্লাহর ভয়ে অস্থির হয়। সে ব্যথা ভারাক্রান্ত ও ভগ্ন হৃদয়ে আপন প্রতিপালকের সামনে দাঁড়িয়ে লজ্জাবনত মাথা ঝুঁকিয়ে নিজের পাপ ও ভুলগুলো স্মরণ করে কেঁপে ওঠে এবং তার চোখ থেকে অশ্রুর ধারা বইতে থাকে। তার অন্তর আগামীকালের সফলতার জন্য উন্মুখ থাকে। কারণ, পাপের বোঝা থেকে সে নিজেকে ভারমুক্ত করে নিয়েছে যেন সে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ সহজে অতিক্রম করতে পারে।
পুরোনো দিনের জন্য অনুশোচনা করো এবং ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক চিন্তা করো। নিশ্চয় পরবর্তী দিনগুলো তোমার জন্য সুখের সুসংবাদ বয়ে আনবে।
সূত্র: আসআদু ইমরাআতিন ফিল আলাম, আয়েয আল-কারনি
অনুবাদ: মনযূরুল হক
আরও পড়ুনআবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) ছিলেন বিজ্ঞ ও সাহসী সাহাবি১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪