বরিশালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও মারধরের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে নগরের ডিসিঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মহানগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও একই এলাকার ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা।

মামলা ও পুলিশ সুত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ২৯ মার্চ বরিশাল জেলা মোটরসাইকেল পাটর্স মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিমের চাঁদমারি এলাকার বাসায় চুরি হয়। চোর সন্দেহে সালাম হাওলাদার নামক এক যুবককে আটকের পর সে চুরির কথা স্বীকার করে। মালামাল ফেরত দেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

পরে সালামের পক্ষে স্বেচ্ছাাসেবক দল নেতা মামুনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন ভাটার খাল এলাকায় রহিমের মালিকানাধীন মোটরসাইকেলের পার্টসের দোকান ‘হাওয়া মটরর্সে’ হামলা ও ভাঙচুর করে। এসময় আব্দুর রহিমসহ কর্মচারীদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মামুনসহ ৪ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন রহিম।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এজাহারভুক্ত আসামি মামুনকে গ্রেপ্তার করেছেন উপপরিদর্শক রূহুল আমিন। মামুনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই যোদ্ধা এমদাদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

জুলাই যোদ্ধা সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদের ওপর হওয়া হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নিজে এমন দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এমদাদ বলেন, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর পন্টন মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম সমিতির অফিসের মধ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমিতির আমন্ত্রণে পহেলা বৈশাখ প্রস্তুতি বৈঠকে অংশগ্রহণ নিতে রাজধানীর পল্টনে চট্টগ্রাম সমিতির অফিসে গিয়েছিলাম। জুলাই আন্দোলনে অবদান ছিল, একারণেই তারা আমাকে ডেকেছিলেন। সেখানে মিটিং শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে যখন বের হয়ে আসবো তখন চট্টগ্রাম বিল্ডার্সের মালিক নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা ওপর হামলা করা হয়। এই হামলায় ১০ থেকে ১২ জন অংশ নেন। তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি, চাপাতি, ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রথমে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা আয়োজনের সভাপতি এম এ হাশেম রাজুর ওপর আক্রমণ করে। তারপর আমার ওপর লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে। হামলার পর থেকে আমি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এই ঘটনায় শাহবাগ থাকায় মামলা করেছি।’

মামলার এজাহারে মো. নাসির উদ্দিনসহ নয় জনকে আসমি করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন হিরু, সমিতির সাবেক নির্বাচন কমিশনার জকরিয়া, সাবেক কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুল আলম, হোটেল গ্রান্ড তাজ মালিক মুনসুর আলম চৌধুরী, মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী মুকুল, মো. গিয়াস উদ্দিন,ব্যবসায়ী মো. শফিকুর রহমান।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর সমকালকে বলেন, এমদাদের ওপরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদ একটা চোখ হারিয়েছেন এবং একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ