মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)
আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।
গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ নদ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীর পথসভায় বক্তারা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা ছাড়া আট মাসে এ চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পথসভায় এ কথা বলেছেন বক্তারা।
আজ শনিবার রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে এ সভা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখাসহ সাত দফা দাবিতে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে ছয়টি পথসভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ। এর অংশ হিসেবে সকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সভাটি হয়।
আজকের সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের বাস্তব রূপ দিতে হবে। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সরকারের কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা নেই।
সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ২৭ বছরে এই চুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, কোনো ধরনের মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। যারা চুক্তি করেছিল, তারাও করেনি। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও করছে না।
রুহিন হোসেন বলেন, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার এলাকায় সাত দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়