খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর মামলা প্রত্যাহারসহ দুই দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি টিএসসি পায়রা চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ফের রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল থেকে দাবি জানানো হয়, অবিলম্বে কুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং কুয়েটের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানান তারা।

এসময় ‘কুয়েটে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ব্যারাকের সেনাবাহিনী, ব্যারাকে ফিরে যা’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘চবিতে বহিষ্কার, প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘কুয়েটের মামলা, প্রত্যাহার করতে হবে’সহ নানা স্লোগান দেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ র দ ব পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সংকটময় মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলনই জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে: মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া মুহাম্মদ গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘জামায়াত সর্বদা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অথচ আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল থেকে প্রহসনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত করে রাষ্টীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনের নামে একদলীয় ক্ষমতা কায়েম করে দেশের রাজনীতিকে অকার্যকর করে দিয়েছিল। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। দেশের সংকটময় মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলনই পারে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে।’

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আরেকটি জনসভায় যাওয়ার প্রাক্কালে সংক্ষিপ্ত পথসভায় আয়োজন করা হয়।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনই এখন জাতির অগ্রাধিকার। এর আগে আওয়ামী লীগ গণমাধ্যম ও বিচার ব্যবস্থাকে কব্জায় নিয়ে বিরোধী দল ও মতের রাজনীতিকে স্তব্ধ করে সারাজীবনের জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লব ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এই বিপ্লব ছিল জনগণের মুক্তির রূপরেখা।’

পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু নাছের, সাতকানিয়া উপজেলা আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম চৌধুরী, সেক্রেটারি মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, উত্তর সাতকানিয়া সাঙ্গু সাংগঠনিক থানা শাখার আমির মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইলিয়াছ, কেরানীহাট শহর শাখার আমির মুহাম্মদ নাছিরসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আওতাধীন শাখাগুলোর বিভিন্ন স্তরের জামায়াত নেতাকর্মীরা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ