লুণ্ঠনের বুর্জোয়া ধারা ও ধর্মীয় মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

বাসদের সমর্থক–শুভানুধ্যায়ীদের ২১তম বার্ষিক মিলনমেলায় বজলুর রশীদ এ আহ্বান জানান। রাজধানীর তোপখানার বিএমএ মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলে এই আয়োজন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে সারা দেশের ছয় শতাধিক সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী অংশ নেন। বিভিন্ন বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাসদের কার্যক্রম, রাজনৈতিক সংগ্রাম, পরামর্শ, সমালোচনা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে বুর্জোয়া জাতীয়তাবাদী ধারা ও মৌলবাদী ধারার বিপরীতে বাম ও উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির সমন্বয়ে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি।

বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যে আশাবাদ গড়ে উঠেছিল, তা ক্রমাগত ফিকে হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বৈষম্যের বিলোপের স্লোগানে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ গণ–অভ্যুত্থানে শামিল হলেও একই শ্রেণির এক অংশকে হটিয়ে অপর অংশ শাসনক্ষমতায় যাওয়ায় গত আট মাসেও জীবনযাত্রার ব্যয় কমেনি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি থামেনি। গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য যে নির্বাচন, তা নিয়েও ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মিলনমেলায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আবিদুর রেজা, সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, গণতন্ত্রী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সিকদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব সুজা উদ্দিন, সাংবাদিক কুদরত ই খুদা, ডাকসুর সাবেক জিএস মুশতাক হোসেন, নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।

মিলনমেলায় ছিল কবিতা আবৃত্তি, সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনসহ নানা আয়োজন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড নিখিল দাস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’

স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম বড় শক্তি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়, গণন্ত্রণের বিকাশও সম্ভব নয়। এ বাস্তবতায়  গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। 

গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি। 

ড. ভাইজ মনে করেন, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল তাদের কল্যাণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

রাজধানীর ইকবাল রোডে ওয়াইডব্লিউসিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ইউনেস্কো-আইপিডিসি এবং নিউজ নেটওয়ার্ক। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সংস্থাকে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ড. সুজান ভাইজ। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তি বন্ধ করার জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর যোগাযোগ ও তথ্য খাতের প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
  • ট্রাম্প-সি-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল
  • গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 
  • ‘আমাদের রাজনীতিতে ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে’
  • ‘গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’
  • সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে: মান্না 
  • নির্বাচনের বিকল্প সংস্কার কেন, প্রশ্ন রিজভীর
  • রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে: মান্না
  • সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে: প্রশ্ন রিজভীর