প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বড় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকে এমন কথাই বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইইউর সঙ্গে চুক্তি হওয়াটা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।

যুক্তরাষ্ট্রের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইইউ। ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপের দেশগুলো। এরপরও ২ এপ্রিল ইইউর সদস্যদেশগুলোর ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। সেই শুল্ক বর্তমানে স্থগিত থাকলেও ভবিষ্যৎ ফাড়া কাটানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার পথ ধরেছে জোটটি।

এরই অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। শুল্কযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন। দুজনের সাক্ষাতের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘১০০ শতাংশ নিশ্চিত, একটি চুক্তি হবে। এটি হবে একটি ন্যায্য চুক্তি।’ জবাবে মেলোনি বলেন, ‘অবশ্যই।’

হোয়াইট হাউসে এ সাক্ষাতে ট্রাম্প বলেন, ‘সবাই একটি চুক্তি করতে চায়। আর তারা যদি একটি চুক্তি করতে না চায়, তাহলে আমরা তাদের জন্য চুক্তি করব।’ ট্রাম্প বলেন, তাঁর আশা আগামী তিন–চার সপ্তাহের মধ্যে সব দেশের সঙ্গে চুক্তি করবেন তিনি।

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, এই জোট তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করার জন্য। আর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় মেলোনি বলেছিলেন, এই শুল্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতোই যুক্তরাষ্ট্রেরও ক্ষতি করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ম প বল ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

অভিবাসন ও পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ইইউর অনুদান, চুক্তি সই

নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন এবং টেকসই পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটি চুক্তি সই করেছে। ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানানো হয়। 

‘অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পুনর্বাসনের জন্য সেবা প্রদান ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অনুদান দেবে। গত মঙ্গলবার ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে আইওএমের মিশন প্রধান ল্যান্স বনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। 

ইআরডি জানায়, প্রকল্পটি দুটি প্রধান লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করবে। প্রথমত, অভিবাসন সেবা প্রদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং দ্বিতীয়ত, ঝুঁকিপূর্ণ প্রবাসফেরতদের সহায়তা দেওয়া। এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন ও পুনর্বাসন  কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া অভিবাসন ও পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের অগ্রাধিকার কার্যক্রম বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় উন্নয়ন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশসহ ৭ দেশ, কঠিন হবে আশ্রয় পাওয়া
  • অভিবাসন ও পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে ইইউর অনুদান, চুক্তি সই