কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, পরিস্থিতির সুযোগে লুটপাটও ঘটতে পারে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাকির হোসেন ও কাউছার সরকার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৮ জন আহত হন।

আহতদের কয়েকজনকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকে ঢাকা পাঠানো হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রমজান মাসে পূর্ববিরোধের জেরে কাউছার সরকার গ্রুপের কাউছার হামলার শিকার হন। তাঁর হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগে শাজাহান সরকার (কাউছারের বাবা) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আটকরা বুধবার জামিনে মুক্তি পান। দুই দিন পর, শুক্রবার দুপুরে জাকির গ্রুপের লোকজন বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

হরিপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও বড়কান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দুজনই বড়কান্দা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। সেই প্রতিযোগিতা থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। গত এক মাস আগে জাকিরের লোকজন কাউছারকে হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে, কুপিয়ে জখম করে। এই মামলায় জাকিরসহ তার লোকজন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাদের আটক করে জেলে প্রেরণ করলে ১১ দিন পর জামিনে এসে বাদী পক্ষের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর কাউসারের লোকজন ও সেখানে গেলে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুপক্ষের ৮ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়।

এবিষয়ে জাকির হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সমকালকে বলেন, আমরা ১১ দিন পর জামিন পেয়ে গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছি। আজ সকালে শুনছি আমার চাচা ডালিমকে মারছে এরপর আমরা কয়েকজন ওইখানে খাল পার হয়ে যাই। সেখানে আমাদের লোকজনকে মারধর করে। আমার ৫ জন আহত হই। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন।

তবে বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন জাকির হোসেন।

মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমকালকে জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে পুলিশ গেছে। পুরোনো বিরোধের জেরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। ৩-৪ জন আহত হয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে লিখিতি অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত স ঘর ষ র ল কজন জন আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন বাইডেন

হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর জো বাইডেন তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ওয়েলফেয়ার নীতির সমালোচনা করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেন শিকাগোয় এক সম্মেলেন বলেছেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ‘লড়াই শুরু করেছে’। প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের এক অনুষ্ঠানে এ বক্তৃতা দেন জো বাইডেন। বক্তৃতায় হোয়াইট হাউস থেকে চলে যাওয়া বা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি।

যে সংস্থা সরকারকে বছরে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৬০ হাজার কোটি) ডলারের সুবিধা দেয়, সেটির কর্মীদেরও ছাঁটাই করতে চাচ্ছে প্রশাসন, বলেন জো বাইডেন।

বাইডেন গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে বলেন, ১০০ দিনের কম সময়ে নতুন প্রশাসন অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে, অনেক ধ্বংস করেছে। এটা একধরনের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।

সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পবিত্র প্রতিশ্রুতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মানুষের জীবনযাপনে সামাজিক নিরাপত্তা কতটা প্রভাব রাখে, সেটি আমাদের জানা।’

প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের এক অনুষ্ঠানে এ বক্তৃতা দেন জো বাইডেন। বক্তৃতায় হোয়াইট হাউস থেকে চলে যাওয়া বা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি।

প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের এক অনুষ্ঠানে এ বক্তৃতা দেন জো বাইডেন। বক্তৃতায় হোয়াইট হাউস থেকে চলে যাওয়া বা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি কিছু বলেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সোশ্যাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এসএসএ) অবসরে যাওয়ায় বা প্রতিবন্ধিতার কারণে কাজ করতে পারেন না, এমন লোকজনকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। প্রায় ৬ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন নাগরিক সংস্থাটির সুবিধাভোগী। তাঁদের বড় অংশই বয়স্ক মানুষ।

আরও পড়ুনসদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন কী করছেন০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কাঁটছাঁট করার ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার সমালোচনা বিরোধী ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বারবারই করছেন।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ধনকুবের ইলন মাস্কের তথাকথিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)’ গত ফেব্রুয়ারি মাসে সোশ্যাল সিকিউরিটি এজেন্সিতে বড় ধরনের ব্যয়হ্রাস অভিযান চালায়। এতে সাত হাজার কর্মী চাকরি হারান।

করদাতা মার্কিন জনগণ ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়টি সুরক্ষিত করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি নিশ্চিত।—ক্যারোলিন লেভিট, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিকে মাস্ক ‘সর্বকালের বৃহত্তম জালিয়াতির প্রকল্প’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অনুপযুক্ত লোকজনকে’ বাদ দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যেখানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অনুপযুক্ত লোকজনকে’ বাদ দিতে বলা হয়েছে।অভিষেক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে) ও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়। ২০ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম বক্তৃতায় ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন বাইডেন