গণহত্যার প্রতিবাদ করে জালিম ইসরায়েলের আগ্রাসন থেকে মজলুম গাজাবাসীর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছে পটুয়াখালীর রাখাইন সম্প্রদায়।

গাজায় গণহত্যা ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের শিকার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য কুয়াকাটায় মাহা সাংগ্রাই জলকেলি উৎসবে এক মিনিট নীরাবতা পালন করে রাখাইন সম্প্রদায়।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুক্রবার রাখাইন জলকেলি উৎসবের শুরুতে গাজায় গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি: রাইজিংবিডি 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব
বিশ্বে পূর্বশত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে

অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি

শুক্রবার দুপুরে (১৮ এপ্রিল) কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার-সংলগ্ন রাখাইন মাঠে জলকেলি উৎসবের প্রারম্ভে সবাই দাঁড়িয়ে এই নীরবতা পালন করেন।

রাখাইনদের অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর জন্য বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয় বলেও জানিয়েছেন সম্প্রদায়টির ধর্মগুরুরা।

গণহত্যা অভিযানে গাজা ও ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্ন করতে ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাখাইনদের এসব উদ্যোগ মানবতার জন্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষ।

রাখাইন জলকেলি উৎসব দেখতে আসা কলাপাড়ার আলীপুর এলাকার বাসিন্দা মো.

হোসেন মিয়া বলেন, “আজ জলকেলি দেখতে রাখাইন মাঠে এসেছি। এখানে এসে একেবারেই অবাক হয়েছি। তারা অনুষ্ঠানের শুরুতেই গাজাবাসীর জন্য নীরবতা পালন করেছে।”

“নিপীড়িত গাজাবাসীর জন্য তাদের সহমর্মিতা আমাকে আপ্লুত করেছে,” বলেন হোসেন মিয়া।

মহিপুর থেকে আসা মো. আবদুস সালাম বলেন, “এমনিতেই রাখাইনদের সঙ্গে আমাদের একটি সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে। আজ তারা গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করেছে। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আরো বেড়ে গেল।”

মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধবিহারের উপাধ্যক্ষ উত্তম মহাথের বলেন, “আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে গাজাবাসীর জন্য প্রায়ই বিশেষ প্রার্থনা করি। শুধু গাজাবাসীই নয়, পৃথিবীর সকল দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যুদ্ধ বন্ধ হোক- এটাই আমাদের প্রার্থনা।”

“ আমরা মানুষ হিসেবে সবাইকে সবার প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের অনুরোধ জানাচ্ছি,” বলেন উত্তম মহাথের।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, “গাজাবাসীর প্রতি রাখাইন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে মানবতার সঙ্গে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি তারা দেখিয়েছেন, এ জন্য তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

“রাখাইন সম্প্রদায় ভিন্ন ধর্মালম্বী হলেও মানবতার ধর্ম সবার এক। তাই রাখাইন সম্প্রদায় এই নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের সম্প্রীতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল।”

শুক্রবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাখাইন জলকেলি উৎসব, যাতে শামিল হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ, সেই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন বিদেশিরাও।

উৎসব শুরুর দিন ঐতিহ্যবাহী জলকেলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় রাখাইনদের। তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের আনন্দ করতে দেখা যায়। উৎসবে সহায়তা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঢাকা/ইমরান/রাসেল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ জ ব স র জন য কল প ড় র গণহত য আম দ র ন রবত জলক ল

এছাড়াও পড়ুন:

গিরিশৃঙ্গে জাফর সাদেকের হাতে উড়ল ফিলিস্তিনের পতাকা

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা ও স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিনের সমর্থনে লবুচে পূর্ব গিরিচূড়ায় বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি দেশিটির পতাকা উড়িয়েছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী জাফর সাদেক।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নেপালের সলোখুম্ভু অঞ্চলে অবস্থিত লবুচে ইস্ট পর্বতশৃঙ্গে পা রাখেন জাফর সাদেক।

লবুচে ইস্ট পর্বত অভিযান সম্পর্কে পর্বতারোহী জাফর সাদেক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “গত ১ এপ্রিল নেপালের লুকলা থেকে ট্রেকিং শুরু করে ১১ এপ্রিল ডিংবোচে পৌছে সেখান থেকে পরদিন লবুচে হাইক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওয়া দেই।”

আরো পড়ুন:

অবিলম্বে ‘গাজাযুদ্ধ’ বন্ধের দাবিতে ইসরায়েলিদের গণস্বাক্ষর

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরো ৩৯ ফিলিস্তিনি

“১৩ তারিখ রাত ১টা ৩০ মিনিটে লবুচে হাইক্যাম্প থেকে সামিটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। পরদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে লবুচে ইস্ট পর্বত চূড়ায় বাংলাদেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে তাদের প্রতি সহমর্মিতার অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে ধরেছি।”

জাফর সাদেক বলেন, “অভিযান চলাকালীন সলোকুম্ভু অঞ্চলের অভিযাত্রীদের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের ওপর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গঠনের চেষ্টা করেছি। আমাদের সকলের প্রত্যাশা ফিলিস্তিনি জনতার ওপর ইসরাইল ও তাদের দোসরদের চলমান গণহত্যা বন্ধ হোক।”

পর্বতারোহনে জাফরের পথচলা শুরু ২০১২ সালে। পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি পাহাড়ে চড়ার পর শুরু করেন বড় মিশন। গত আট বছরে হিমালয় ও ককেশাস পর্বতমালার বেশকিছু শিখরে অভিযান করেছেন তিনি।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ইউরোপ মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এলব্রুস এবং আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারোর চূড়ায় ওঠেন জাফর সাদেক। ২০২২ সালে হিমালয়ের মেরা পর্বত এবং ২০২৪ সালে ফ্রেন্ডশিপ পর্বতচূড়ায় পা রাখেন তিনি।

রায়হান/ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদি সমাবেশ সফল করতে রাজশাহীতে গণসংযোগ
  • পাকিস্তানের বিবৃতিতে নেই ক্ষমা প্রার্থনার প্রসঙ্গ
  • পাকিস্তান ও ভারতকে বাংলাদেশের দুই বার্তা
  • আইফেল টাওয়ারে ‘শান্তির বার্তা’
  • শহীদ হোসাম শাবাতের সাহস
  • অর্থ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • গিরিশৃঙ্গে জাফর সাদেকের হাতে উড়ল ফিলিস্তিনের পতাকা
  • সম্পদ ফেরত ও গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান ঢাকার
  • একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আলোচনা