মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

নাহিদকে নিয়ে উইলিয়ামসের মন্তব্যে শান্তর ‘খোঁচা’

নাজমুল হোসেন শান্ত যেভাবে নাহিদ রানাকে তুলে ধরলেন তাতে বার্তা স্পষ্ট, আগে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা খেলুক তাকে, তারপর না হয় মন্তব্য করা যাবে। রীতিমতো বাংলাদেশের অধিনায়ক ‘খোঁচাই’ দিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। যার শুরুটা অবশ্য সফররত জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শন উইলিয়ামসের থেকে।

বাংলাদেশ পেস বোলিংয়ের বিজ্ঞাপন নাহিদ। বর্তমান সময়ে দ্রুত গতির যে সমস্ত বোলার ক্রিকেট বিশ্বের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, নাহিদ তাদের মধ্যে অন্যতম। জোরে বলিং করতে পারার সক্ষমতা দিয়ে নাহিদ সুনজরে এসেছেন সবার। লাল বলে তাকে খেলতে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। জিম্বাবুয়ের জন্যও ডানহাতি পেসার হতে পারেন হুমকি। কিন্তু তাকে নিয়ে তেমন কোনো চিন্তিত মনে হলো না উইলিয়ামসের।

আরো পড়ুন:

টেস্ট সংস্কৃতির জন্য ভাবনার বদল চাইলেন শান্ত

বিবিসির প্রতিবেদন
ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) নাহিদকে নিয়ে উইলিয়ামস বলেছিলেন, ‘‘এখনকার দিনে অনেক বোলারই আছে দ্রুতগতিতে বল করতে পারে। দুনিয়ায় শুধু একজনই জোরে বল করে না। আমরা এটার জন্য প্রস্তুত। আমাদের কাছে বোলিং মেশিন আছে, যা মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে বল করে।’’

উইলিয়ামসের এমন মন্তব‌্য কানে গিয়েছে শান্তর। তার মন্তব্য নিয়ে শান্তর পাল্টা উত্তর, ‘‘ম্যাচে যখন নাহিদ বল করবে আর প্রতিপক্ষ যখন ব্যাটিং করবে তখন আপনি তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে বুঝতে পারবেন যে, নাহিদ রানা কত জোরে আসলে বল করে এবং কতটা এক্সট্রাঅডিনারি।’’

নিজের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে নাহিদকে প্রথম দেখেছিলেন শান্ত। তার শুরুর সময়টা সম্পর্কে সবটাই জানা বাংলাদেশ কাপ্তানের। একাডেমি মাঠে একসঙ্গে অনুশীলন, এরপর বিভাগীয় দলে খেলা। এখন দুজনের ঠিকানা জাতীয় দল। নাহিদকে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে দেখেছেন শান্ত। শুরুর সময় আর এখনকার অবস্থান, দুয়ের পার্থক্য থাকলেও নাহিদের উদ্দেশ্যে তার পরামর্শ একটাই, ১৪০ কিমির গতির বল।

সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সতীর্থর থেকে অধিনায়ক শান্তর চাওয়া, ‘‘ওকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি আমার ডিভিশন থেকে খেলেছে। যখন ও কিছুই খেলেনি একাডেমিতে প্র্যাকটিস করত তখন থেকেই চিনি। সো তখন থেকে এখন পর্যন্ত একটা মেসেজই দেওয়া হয়েছে, ও যেন ১৪০ প্লাস বল করে। এখন পর্যন্ত এই মেসেজটা ক্লিয়ার এবং আমি আশা করব যে, আগামী কালকে যদি খেলার সুযোগ আসে তাহলে ও যেন ১৪০ প্লাস বল করে।”৬ টেস্টে ২০ ও ৪ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদ এখনো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলেননি। সিলেটে প্রথমবার খেলবেন উইলিয়ামস, আরভিনদের বিপক্ষে। প্রথম মুখোমুখিতেই দ্রুতগতির বোলার চমকে দিলে অবাক হওয়ার থাকবে না।

সিলেট/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ