কেউ তাঁকে নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন, কেউ করেছেন গালাগালি, কেউবা আবার একান্তে সময় কাটাতে চেয়েছেন—ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন অনন্যা বাঙ্গার। অনন্যার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতে হলেও বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন।

কোন ক্রিকেটাররা এসব কাণ্ডে জড়িত, তা জানতে ফিসফিসানি শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে অনেকের কৌতূহল অনন্যা বাঙ্গারকে নিয়েই। কে এই অনন্যা, যিনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন এবং হয়রানির মুখেও পড়েছিলেন?

নাম শুনেই অবশ্য কারও কারও অনুমান করে ফেলার কথা, অনন্যা বাঙ্গার কে হতে পারেন। অনন্যা ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তান। তাঁর নাম ছিল আরিয়ান, লৈঙ্গিক পরিচয় ছেলে।

তবে গত বছরের নভেম্বরে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় আরিয়ান জানান, যুক্তরাজ্যে ১০ মাসের হরমোনাল পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নিজের ‘সত্যিকারের সত্তা’ খুঁজে পেয়েছেন। এই পরিবর্তনকে ‘সবচেয়ে বড় বিজয়’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। রূপান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নাম হয় অনন্যা।

আরও পড়ুনরূপান্তরিত নারীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করল ইসিবি১৮ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল লালানটপে একটি সাক্ষাৎকার দেন অনন্যা। ২৩ বছর বয়সী এই রূপান্তরিত নারী সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট–কাঠামো নিয়ে গুরুতর কিছু অভিযোগ তোলেন, ‘আমি মুশির খান, সরফরাজ খান, যশস্বী জয়সোয়ালের মতো নামকরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলেছি। আমাকে তখন নিজের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে হয়েছে; কারণ, আমার বাবা ছিলেন পরিচিতমুখ। ক্রিকেটজগৎটা নিরাপত্তাহীনতা আর বিষাক্ত পুরুষতান্ত্রিকতায় ভরা।’

অনন্যা যখন আরিয়ান নামে পরিচিত ছিলেন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অনন য

এছাড়াও পড়ুন:

নাহিদকে নিয়ে উইলিয়ামসের মন্তব্যে শান্তর ‘খোঁচা’

নাজমুল হোসেন শান্ত যেভাবে নাহিদ রানাকে তুলে ধরলেন তাতে বার্তা স্পষ্ট, আগে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা খেলুক তাকে, তারপর না হয় মন্তব্য করা যাবে। রীতিমতো বাংলাদেশের অধিনায়ক ‘খোঁচাই’ দিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। যার শুরুটা অবশ্য সফররত জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার শন উইলিয়ামসের থেকে।

বাংলাদেশ পেস বোলিংয়ের বিজ্ঞাপন নাহিদ। বর্তমান সময়ে দ্রুত গতির যে সমস্ত বোলার ক্রিকেট বিশ্বের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন, নাহিদ তাদের মধ্যে অন্যতম। জোরে বলিং করতে পারার সক্ষমতা দিয়ে নাহিদ সুনজরে এসেছেন সবার। লাল বলে তাকে খেলতে হিমশিম খেতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। জিম্বাবুয়ের জন্যও ডানহাতি পেসার হতে পারেন হুমকি। কিন্তু তাকে নিয়ে তেমন কোনো চিন্তিত মনে হলো না উইলিয়ামসের।

আরো পড়ুন:

টেস্ট সংস্কৃতির জন্য ভাবনার বদল চাইলেন শান্ত

বিবিসির প্রতিবেদন
ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণের বাংলাদেশের দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের ভাষ্যে

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) নাহিদকে নিয়ে উইলিয়ামস বলেছিলেন, ‘‘এখনকার দিনে অনেক বোলারই আছে দ্রুতগতিতে বল করতে পারে। দুনিয়ায় শুধু একজনই জোরে বল করে না। আমরা এটার জন্য প্রস্তুত। আমাদের কাছে বোলিং মেশিন আছে, যা মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে বল করে।’’

উইলিয়ামসের এমন মন্তব‌্য কানে গিয়েছে শান্তর। তার মন্তব্য নিয়ে শান্তর পাল্টা উত্তর, ‘‘ম্যাচে যখন নাহিদ বল করবে আর প্রতিপক্ষ যখন ব্যাটিং করবে তখন আপনি তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে বুঝতে পারবেন যে, নাহিদ রানা কত জোরে আসলে বল করে এবং কতটা এক্সট্রাঅডিনারি।’’

নিজের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে নাহিদকে প্রথম দেখেছিলেন শান্ত। তার শুরুর সময়টা সম্পর্কে সবটাই জানা বাংলাদেশ কাপ্তানের। একাডেমি মাঠে একসঙ্গে অনুশীলন, এরপর বিভাগীয় দলে খেলা। এখন দুজনের ঠিকানা জাতীয় দল। নাহিদকে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে দেখেছেন শান্ত। শুরুর সময় আর এখনকার অবস্থান, দুয়ের পার্থক্য থাকলেও নাহিদের উদ্দেশ্যে তার পরামর্শ একটাই, ১৪০ কিমির গতির বল।

সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে সতীর্থর থেকে অধিনায়ক শান্তর চাওয়া, ‘‘ওকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি আমার ডিভিশন থেকে খেলেছে। যখন ও কিছুই খেলেনি একাডেমিতে প্র্যাকটিস করত তখন থেকেই চিনি। সো তখন থেকে এখন পর্যন্ত একটা মেসেজই দেওয়া হয়েছে, ও যেন ১৪০ প্লাস বল করে। এখন পর্যন্ত এই মেসেজটা ক্লিয়ার এবং আমি আশা করব যে, আগামী কালকে যদি খেলার সুযোগ আসে তাহলে ও যেন ১৪০ প্লাস বল করে।”৬ টেস্টে ২০ ও ৪ ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদ এখনো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলেননি। সিলেটে প্রথমবার খেলবেন উইলিয়ামস, আরভিনদের বিপক্ষে। প্রথম মুখোমুখিতেই দ্রুতগতির বোলার চমকে দিলে অবাক হওয়ার থাকবে না।

সিলেট/ইয়াসিন/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ