টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 18th, April 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতদের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্বজনদের ধারণা, আজ বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে সন্ত্রাসীরা ফ্ল্যাটে ঢুকে ভািই-বোনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নিহতরা হলো- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার আ.
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে স্ত্রীর হাতে কৃষকদল নেতা খুন
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা
এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার সেতু ভিলা নামে ৮ তলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন আ. বাতেন মিয়া। তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে নানার বাড়িতে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মালিহা ও আবদুল্লাহর মা। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে তিনি ঘরের মেঝেতে তার ছেলে ও মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “দুই শিশুকে হত্যার ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নিহতদের মা ও বাবা দুই রকমের তথ্য দিচ্ছেন। তাদের কথা অসংলগ্ন। এ কারণে তাদের দুইজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আটক অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার
ভিসা জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার। গত ৫ আগস্টের পর শুরু হয় এই ভিসা জটিলতা। এর আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৬৫০ যাত্রী পারাপার হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫০ থেকে ১৮০ জন যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
তবে এসব যাত্রী শুধুমাত্র মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাতায়াত করছেন। টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় কমেছে যাত্রী পারাপার, বলছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিজনেস ও টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকসহ সাধারণ মানুষ।
হিলি স্থলবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বিগত বছরের ৫ আগস্টের পর ভারত সরকার নতুন করে ভিসা ইস্যু না করার কারণে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে করে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে পাসপোটযাত্রী পারাপার। তবে যেসব ব্যবসায়ীদের বিজনেস ভিসার মেয়াদ এখনও আছে, তারাই শুধু যাতায়াত করতে পারছেন।
হিলির স্থানীয় রমেন বসাক বলেন, “ভারতে আমার অনেক আত্মীয় স্বজন আছেন। টুরিস্ট ভিসা বন্ধ থাকায় আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে ভারত যেতে পারছেন না।”
কয়েকজন পাসপোর্টধারী স্টুডেন্ট বলছেন, আগে তাদের অভিভাবকরা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দেখা করতে যাওয়া-আসা করতেন। এখন ভিসা বন্ধ থাকায় তারা আর দেখা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি কারক এসএম রেজা আহমেদ বিপুল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারতের টুরিস্ট ও বিজনেস ভিসা বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় পণ্যগুলো মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও বা ছবি দেখে আমদানি করতে হচ্ছে। অনেক সময় আমদানিকৃত এসব পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের।”
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “ভিসা বন্ধ থাকার কারণে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার কমেছে। তবে যদি ভারত সরকার ভিসা ইস্যু করে তাহলে আবারও যাত্রী পারাপার আগের মতো স্বাভাবিক হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/টিপু