হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের তিনজন ইটভাটার শ্রমিক ও একজন পিকআপ ভ্যানের চালকের সহকারী। তাঁরা কর্মক্ষেত্রে কাজ শেষে পিকআপ ভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বানিয়াচং উপজেলার চমকপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার স্ত্রী মোস্তাকিনা আক্তার (৩৫), তাঁর দেবরের স্ত্রী একই গ্রামের জহুর আলীর মেয়ে আয়েশা বেগম (৩০) এবং তাঁদের আত্মীয় একই গ্রামের রজব আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (১৬)। আরও নিহত হয়েছেন পিকআপ ভ্যানের চালকের সহকারী মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পংশিপুর গ্রামের রহিম (২২)। তাঁরা সবাই দুর্ঘটনার কবলে পড়া পিকআপ ভ্যানের যাত্রী ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাখরনখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বেশ কিছু শ্রমিক। সেখানে তাঁদের কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে শ্রমিকেরা গতকাল রাতে একটি পিকআপ ভ্যান করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ফিরছিলেন। তাঁদের পিকআপ ভ্যানটি রাত প্রায় তিনটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাখরনখর নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নারীসহ উল্লেখিত চারজন নিহত হন। গুরুতর আহত পাঁচজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে আজ শুক্রবার দুপুরে হস্তান্তর করেছে। দুর্ঘটনাকবলিত পিকআপ ভ্যানটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে আছে। আর দুর্ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে পালিয়ে গেছেন চালক। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুনহবিগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে চারজন নিহত, আহত ৫৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প কআপ ভ য ন র দ র ঘটন উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ