ফতুল্লায় পাভেল (৩৭) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জুবায়ের আহমেদ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত জুবায়ের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার জুয়েল এর ছেলে। 

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-১১ এর অপস্ অফিসার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‌্যাব জানায়, পাভেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান বাবুসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানাগেছে, গত ৩১ মার্চ, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকায় হাসমত উল্লাহর ছেলে পাভেল ও পাশের বাড়ির রায়হান বাবুর মধ্যে মাদক কেনাবেচার টাকার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। 

এর জেরে ঈদের দিন ভোরে রায়হান বাবু ও তার সহযোগীরা পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। 

এ ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম বাদী হয়ে রায়হান বাবুসহ পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। জুবায়ের আহমেদ এ মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি।

মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন,‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রায়হান বাবু এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পাভেলের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ