উল্লাপাড়ায় ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি ২
Published: 18th, April 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক ও যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শুক্রবার ভোরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাস চালক পাবনা সদরের হরিনাথপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মনছুরুল আলম (৪৩) এবং জীবন চন্দ্র শীলের ছেলে মানিক চন্দ্র শীল (৪২)।
গুরুতর আহত হন- সুমন দাস নামে অপর এক মাইক্রোবাস যাত্রী। আহত সুমনকে স্থানীয়দের সহায়তায় উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর বলেন, বাঘাবাড়ি থেকে বগুড়াগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটির সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। চালক-হেলপার পালিয়েছে। দুপুরে লাশ দুটি নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উল ল প ড় স র জগঞ জ সড়ক দ র ঘটন উল ল প ড়
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।