শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
Published: 18th, April 2025 GMT
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই কর্মসূচি হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন, যারা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি একটি ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করে। সেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে গত বুধবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তুলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বাসদের জেলা সদস্য বেল্লাল গাজী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য রেজওয়ান ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সেলিম মাহমুদ রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকায় অবস্থিত রবিনটেক্স গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে নির্যাতিত শ্রমিকদের রক্ষায় আইনগত সহযোগিতার ব্যবস্থা করছিলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছিলেন, এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।
শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র ম ন টস বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার ( গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান হিরা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ছত্রছায়ায় কামরুজ্জামান হিরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো।
রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হিরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজীর ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে হিরা।
এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হিরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হিরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হিরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হিরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে।
নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হিরা ও ডন হিরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হিরা পলাতক ছিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হিরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।