ময়মনসিংহে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত
Published: 18th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার গোয়ারী বালিকা মাদ্রাসা সামনের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন উপজেলার পূর্ব ভালুকা মণ্ডলপাড়া এলাকার মো. আজগর আলীর ছেলে পূর্ব ভালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো.
দুর্ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন নিহত লাল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৫), লাল মিয়ার মামি জ্যোৎস্না আরা (৬৫) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক রোমান মিয়া (৪২)। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে গোয়ারী বালিকা মাদ্রাসা সামনের ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে ভালুকাগামী একটি হায়েস মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের ডান পাশে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাচালকসহ যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে চিকিৎসক লাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত অন্য চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রোকেয়া আক্তারের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনেরা জানান, লাল মিয়া তাঁর এক অসুস্থ খালাকে দেখতে অটোরিকশায় করে পাশের উপজেলার শ্রীপুরে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তিনি মারা যান।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল হুদা খান প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় এইচ ডি এফ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
শ্রমিকরা জানান, গত দুই মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারী এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা কাজ করছি প্রতিদিন, কিন্তু বেতন পাই না। কর্তৃপক্ষ শুধু ‘আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করছে। পেটের দায়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।’’
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’’
এ বিষয়ে জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/রফিক/রাজীব