স্বাধীন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম বড় শক্তি। গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রেখে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়, গণন্ত্রণের বিকাশও সম্ভব নয়। এ বাস্তবতায়  গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ। 

গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি। 

ড.

ভাইজ মনে করেন, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কেবল তাদের কল্যাণের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং গণতন্ত্র এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

রাজধানীর ইকবাল রোডে ওয়াইডব্লিউসিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে ইউনেস্কো-আইপিডিসি এবং নিউজ নেটওয়ার্ক। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় সংস্থাকে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান ড. সুজান ভাইজ। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হুমকি এবং তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের দায়মুক্তি বন্ধ করার জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান এবং ঢাকায় ইউনেস্কোর যোগাযোগ ও তথ্য খাতের প্রধান নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণম ধ যমকর ম গণম ধ যমকর ম দ র অন ষ ঠ ন কর ম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের রাজনীতিতে ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। দুঃসময়েও তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দৃঢ়তার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছিলেন। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছিলেন। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সমাজকল্যাণ ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এভাবেই স্মৃতিচারণা করেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবার ভেতর আলো জ্বেলেছেন—এমন মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। তাঁদের সুস্থ করতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের খালি হাতে খালি পায়ে গ্রামে ফিরে যেতে হয়েছিল। দেশটাও গত ৫০ বছরে গড়েই উঠল না। গণতন্ত্র, সাম্য, সমাজতন্ত্র, ন্যায়বিচার—সবই আড়ালে থেকে গেল। আমাদের রাজনীতি নিশ্চয় ত্রুটিপূর্ণ ছিল। সেই রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে।’

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংস্কৃতি বিরাজমান, সেটির পরিবর্তন ঘটেনি। তরুণদের এই শিক্ষাটা মাথায় রাখতে হবে। পেছনের পচে যাওয়া প্রথাগুলো গ্রহণ করে রাজনৈতিক দল গড়তে চাইলে ভুল হবে। আদর্শের জায়গায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পথ অনুসরণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে ওই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এই সভার মাধ্যমে গতকাল সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের হৃদয়ে বিচিত্র রেখা এঁকে গেছেন। তিনি ছিলেন আমাদের বটবৃক্ষ। দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন। এই বিষয়টি তরুণ প্রজন্মের কাছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অক্ষয় অমর করে রাখবে।’

স্মরণসভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রে আজ ট্রাম্পবিরোধী ৪০০ বিক্ষোভ হচ্ছে
  • দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ করবে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
  • ট্রাম্প-সি-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল
  • গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 
  • ‘আমাদের রাজনীতিতে ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে’
  • সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে: মান্না 
  • নির্বাচনের বিকল্প সংস্কার কেন, প্রশ্ন রিজভীর
  • রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্য স্পষ্ট হতে শুরু করেছে: মান্না
  • সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে: প্রশ্ন রিজভীর