ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা, ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ বিল পাস ও মুসলিম অধিকার খর্ব করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে দলটি।

বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান অতিথি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি বলেন, ‘৬ সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের সীমানায় কোনো ধরনের সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গত এক মাসে পাঁচ লাখ গাজাবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বোঝা যায়, এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোড়া। এই বিষফোড়াকে নির্মূল করতেই হবে।’ ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ বিল আইন বাতিল করার আহ্বান জানান আফেন্দি।

কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদওয়ান মাযহারি বলেন, ‘ইসরায়েল ও আমেরিকাকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, গাজা এবং রাফাকে খালি করে ইহুদিবাদের উর্বর ভূমি বানানোর যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তা হবে না।’

সমাবেশে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দেন জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসূফী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি, মকবুল হোসাইন কাসেমীসহ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ