রিশাদ আসলে কতটা ভালো, কতটা খারাপ
Published: 18th, April 2025 GMT
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সময়টা রিশাদ হোসেনের। যেখানেই হাত দিচ্ছেন, সেখানেই ফলছে সোনা। টি-টোয়েন্টিতে তাঁকে জাতীয় দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার বললেও হয়তো ভুল হবে না।
ফরচুন বরিশালকে বিপিএলে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার এখন পিএসএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও। গত এক-দেড় বছর রিশাদের এই উত্থানের সময়ে তিনি আসলে কতটা ভালো করেছেন? পরিসংখ্যান কী বলছে?
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভালো না খারাপ, সেটা বিচারের দুটো মানদণ্ড আছে—বিশ্বমান ও দেশি মান। রিশাদকে তাই নতুন করে বিচারের প্রশ্ন এই কারণেই উঠছে। এই লেগ স্পিনার আসলে কোন মানের?
২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৮ জন স্পিনার ৫০ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। রিশাদ তাঁদের মধ্যে একজন। তাঁর উইকেট ৬০টি। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ৯৬টি। শুধু স্পিনার নয়, এ সময় পেসারদের উইকেটসংখ্যা বিবেচনায়ও হাসারাঙ্গার উইকেট সবচেয়ে বেশি।
৬০২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিশাদের টি–টোয়েন্টি উইকেটের সংখ্যা৬০ উইকেট নেওয়ার পথে রিশাদ ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৭.
রিশাদ অবশ্য একটি জায়গায় অনেকের চেয়ে এগিয়ে। সেটি ব্যাটিংয়ে। এই ১৮ জন স্পিনারের মধ্যে ৬ জন রিশাদের চেয়ে বেশি রান করেছেন (২৩২ রান)। মাত্র ৪ জন বেশি ছক্কা মেরেছেন, আর শুধু দুজন—রশিদ খান ও সুনীল নারিন—তাঁর চেয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন। রিশাদ এ সময়ে রান করেছেন প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসে ৭টি ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেনউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।