চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চুরির অপবাদে এক যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ওই যুবককে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

ভুক্তভোগীর নাম বজলু ফারাজী (৩৫)। তিনি উপজেলার কুমারী ফারাজীপাড়ার পচা ফারাজীর ছেলে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশে দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোররাত ৩টার দিকে স্থানীয় কালু নামের এক ব্যক্তি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে উঠলে বজলুকে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ম্যাক্সির কাপড় চুরি করতে দেখেন। এসময় তিনি বজলুকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন। পরে ডাক-চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে বজলুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বজলুর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে পুলিশে দেন।

আরো পড়ুন:

কুয়েটের সাবেক ভিসি-প্রোভিসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে ইউএনওর সামনে কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘চুরির অপবাদে স্থানীয় জনতার হাতে আটক ও নির্যাতনের শিকার যুবক বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অভ য গ য বকক

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে ধর্ষণে বাবার ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন (৪৬) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে পরীক্ষা করা হয়। এতে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। 

ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা ঘরে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। হত্যার ভয় দেখিয়ে পরবর্তী ২-৩ মাসে আরও ৭-৮ বার ধর্ষণ করে তার বাবা। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী গত ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত আলতাপের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি)  এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার আদেশ তার (দণ্ডিত ব্যক্তির) জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়-দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুরির অভিযোগে যুবককে গাছে বেঁধে রাতভর নির্যাতন
  • কাপড় চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
  • মেয়েকে ধর্ষণে বাবার ফাঁসি
  • চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড