ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় লেগের অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হতে আর মিনিট তিনেক বাকি। এমন সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পিছিয়ে ছিল ৪-৩ গোলে। তখন টিভির পর্দায় দেখা যায় গ্যালারিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে রেড ডেভিলদের এক ক্ষুদে ভক্ত। ফুটবল অনিশ্চয়তার খেলা, তা আবারও প্রমাণ করল ইউনাইটেড। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা প্রথম মিনিটে সেই ক্ষুদে ভক্তকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উদযাপন করতে দেখা গেল!

ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম স্মরণীয় এক রাত উপহার দিল ফুটবলপ্রেমীদের। উত্থান-পতন, উত্তেজনা আর নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ইউনাইটেড ৫-৪ ব্যবধানে হারাউ অলেম্পিক লিওকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে উঠে গেল রুবেন আমোরিমের দল।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চ্যাম্পিয়নস লিগের আলোয় অনেক বড় রাত পার করেছে ইউনাইটেড। তবে গতরাতের ম্যাচটি স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের জন্য আজীবনের গল্প হয়ে থাকবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রোমাঞকর এক পরিবেশে ম্যাচটি খেলা হয়। আমোরিমের দল যখন ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল, তখন মনে হচ্ছিল তারা সহজেই জয় পেয়ে যাবে। কিন্তু লিও ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরায় ২-২ গোলে।

ম্যাচের ৮৯ মিনিটে লিও মিডফিল্ডার করেন্টিন তলিসো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে মনে হচ্ছিল ইউনাইটেডের দিকেই ম্যাচ ঝুঁকে গেছে। তবে নাটক তখনো শুরুই হয়নি। বিশ্বয়ের জন্ম দিয়ে একজন কম নিয়ে লিও দুই গোল করে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়, মোট অ্যাগ্রিগেট ৬-৪ তখন। ফরাসি ক্লাবটির শেষ চারে পৌছানো সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল তখন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ