চুয়াডাঙ্গা দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল শামীম রেজা সাজুর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে কোয়ার্টারের সহকর্মীরা তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ পায়নি। পরে জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পুলিশ মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

জানা যায়, শামীম রেজা সাজু কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার জুতিয়াডাঙ্গা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, শামীম রেজা সাজু বেশ কয়েক মাস আগে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশে যোগদান করেন। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি কিছুটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলে জানা যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ