গত বছর নির্মাতা অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। নবীন প্রজন্মের এক অভিনেত্রী অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন। পরিচালকের বিরুদ্ধ দায়ের হয়েছিল এফআইআরও। শুধু তা–ই নয়, ভারতের নারী কমিশনের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তার দিন কয়েকের মধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর উইমেনের দ্বারস্থ হন আরও এক অভিনেত্রী। তার পর থেকেই টলিপাড়ার অন্তরালে অরিন্দম। নিজেকে খানিকটা গুটিয়েই রেখেছিলেন। তবে এবার টলিউডের ‘তথাকথিত বন্ধুদের’ বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিচালকের।

সম্প্রতি আনলিশড নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন অরিন্দম শীল। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘একটা শুটিং ফ্লোরের মধ্যে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে? সেটা সবার ভেবে দেখা উচিত ছিল। পরিচালক হওয়ার পাশাপাশি আমি যেহেতু অভিনেতা, সে কারণে অনেক দৃশ্য অভিনয় করে দেখাই।

অরিন্দম শীল। ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।

গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ