প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটি এমন হওয়ার কথা ছিল যে, বিড়াল দেখে ইঁদুর ভয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে। কিন্তু না, হলো তার উল্টোটা। বিড়ালকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে একটি ইঁদুর বিড়ালটির কাছে ঘুরাফেরা করতে শুরু করলো। তারপর তার মুখে, গালে এবং ঠোঁটে আদর করার চেষ্টা করলো। ইঁদুরের আদরে বিরক্ত বিড়াল। ভাবছেন ইঁদুরটাকে ধরে খেয়ে ফেললো? –না এমন ঘটনাও ঘটেনি। বিড়ালটি ইঁদুরকে থাবা দিয়ে ধরে পাশে সরিয়ে রেখে দিলো। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
‘সোবাত_সেমেস্টা’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হযেছে। ভিডিওটি বেশ পছন্দ করেছেন নেটিজেনরা। চার হাজরের বেশি লাইক পড়েছে ভিডিওতে। এক নেটিজেন ভিডিওর ইঁদুর আর বিড়ালকে টম অ্যান্ড জেরি বলে মন্তব্য করেছেন।
ভিডিওতে শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো বিড়ালটি ইঁদুরকে থাবা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিলেও ইঁদুরটি আবার ফিরে আসে। এবং বিড়ালকে আদর করার চেষ্টা করে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির একটি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে লোহাগাড়া উপজেলার কুন্দশী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করার কথা আছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পাপন সিকদার (৩৮)। তিনি ওই মামলার ৬৭ নম্বর আসামি ও একই উপজেলার বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা এলাকার রবিউল ইসলাম শেখ। তিনি নিজেকে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। ওই মামলায় একই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার পরপরই এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদী রবিউল অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা হাটে বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য তহবিল ও জনমত গড়ার বিষয়ে আলাপ করছিলেন তিনিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান সিহানুকের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ পিস্তল, দেশীয় অস্ত্রসহ কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে খুন ও জখমের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বের করে দেন তাঁরা। এরপর সেখানে ৮-১০টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় তাঁরা ‘দুই-একটি বিএনপি ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ওই দলীয় কার্যালয়ের কক্ষ ও আসবাব ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।